অবশেষে মুক্তি পাচ্ছেন সিলেটের ফজলু
সিলেটে বিনা বিচারে ২২ বছর কারাগারে থাকা ফজলু মিয়া অবশেষে মুক্তি পেতে যাচ্ছেন। এনটিভি ও এনটিভি অনলাইনে তাঁকে নিয়ে প্রতিবেদন প্রচারের পর নড়েচড়ে বসে কর্তৃপক্ষ। আজ বুধবার তিনি জামিন পান। কিছু আনুষ্ঠানিকতা শেষে বিকেল ৫টার দিকে কারাগার থেকে মুক্তি পেতে পারেন তিনি।
urgentPhoto
ফজলু মিয়া বিনা বিচারে ২২ বছর কারাগারে আটক ছিলেন। ১৯৯৩ সালের ১১ জুলাই সিলেটের আদালতপাড়া থেকে সন্দেহভাজন হিসেবে ৫৪ ধারায় আটক করা হয়েছিল ফজলু মিয়াকে। এর পর পাগল আইনে তাঁর নামে মামলা করা হয়।
তবে ২০০২ সালে ফজলুকে কারাগার থেকে ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন আদালত। এই আদেশের পরও কেটে যায় ১৩টি বছর। কিন্তু তারপরও কারা ফটক পার হতে পারেননি ফজলু।
এরপর বিনা বিচারে কারাগারে থাকা ফজলু মিয়াকে ছাড়িয়ে আনতে ২০০৫ সালে হাইকোর্টে একটি রিট করে মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্র। কিন্তু তারপরও কারাগারেই থাকতে হয় ফজলুকে।
আদালতের চোখে কোনো অপরাধ না করেও এ পর্যন্ত অন্তত ১৯৭ বার আদালতে হাজিরা দিতে হয়েছিল ফজলু মিয়াকে। সবশেষ এনটিভিতে প্রতিবেদন প্রচারের পর বিষয়টি সবার দৃষ্টিতে আসে। আজ তাঁর ১৯৮তম হাজিরার দিন বেলা ১১টায় সিলেট মুখ্য মহানগর হাকিম জহুরুল হক চৌধুরীর আদালতে সহপাঠীর জিম্মায় জামিন পান ফজলু মিয়া।
এর আগে ফজলুর নিযুক্ত অ্যাডভোকেট জ্যোৎস্না ইসলাম তেতলী ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য ও ফজলুর সহপাঠী কামাল উদ্দিন রাসেলের জিম্মায় জামিনের আবেদন করেন।
অ্যাডভোকেট জ্যোৎস্না ইসলাম বলেন, ‘আমি ফজলু মিয়াকে আসামি বলবো না। সে ভিকটিমাইজ হয়েছে। আমি তাকে ভিকটিম হিসেবে আদালতে উপস্থিত করেছি। ... তার নাকি পালক পিতার সম্পত্তি নিয়ে একটা ডিসপিউট ছিল। এ জন্য কে বা কারা তাকে ভিকটিমাইজ করে পাগল আইনে এ মামলা দিয়ে তাকে জেল হাজতে রেখেছে।’