হাসপাতালে স্ত্রীর লাশ রেখে স্বামী পলাতক
ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আজ শুক্রবার সকালে এক স্বামী তাঁর স্ত্রীর লাশ রেখে পালিয়ে যান। পরে পুলিশ এসে তা উদ্ধার করে থানায় আনার পর আবার হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
নিহত গৃহবধূ শারমিন আক্তার ফরিদপুর শহরের কাদের খানের মেয়ে। যৌতুকের দাবিতে স্বামী ও তাঁদের বাড়ির লোকজন শারমিনকে নির্যাতনে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ করেছেন কাদের খান।
কাদের খান এনটিভি অনলাইনকে বলেন, “বছর চারেক আগে সদর উপজেলার কমলাপুর এলাকার বক্কার মিয়ার ছেলে রবিউল মিয়ার সঙ্গে মেয়ের বিয়ে দিই। বিয়ের ছয় মাস পর থেকেই মেয়ের ওপর নির্যাতন শুরু করেন স্বামী ও শাশুড়ি। এ নিয়ে কয়েকবার সালিস হয়েছে। ওদের দুই বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে রবিউলের মামা আমাকে ফোন দিয়ে জানান, ‘শারমিন হাসপাতালে, আপনি আসেন।’ প্রথমে বলে জেনারেল হাসপাতাল পরে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যেতে বলে। আমরা হাসপাতালে গিয়ে আমার মেয়েকে মৃত অবস্থায় দেখতে পাই। আর ওর স্বামীর বাড়ির কেউ ছিল না হাসপাতালে। ফোন করেও তাদের পাওয়া যায়নি।”
কাদের খান আরো বলেন, ‘এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। আমি এ হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই। মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে মর্মে কোতোয়ালি থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছি।’
এদিকে ঘটনার পর থেকে সদর উপজেলার কমলাপুর এলাকার রবিউল মিয়া ও তাঁর পরিবারের লোকজন পলাতক থাকায় তাঁদের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এদিকে লাশের সুরতহাল প্রস্তুতকারী ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) বেলাল হোসাইন জানান, হাসপাতাল সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে। এই ঘটনায় আপাতত একটি অপমৃত্যু মামলা করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পেলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
থানায় হত্যার অভিযোগ দেওয়ার পরও অপমৃত্যুর মামলা নেওয়া প্রসঙ্গে এসআই বেলাল হোসাইন বলেন, কীভাবে মৃত্যু হয়েছে তা স্পষ্ট নয়। তাই অপমৃত্যুর মামলা করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে মৃত্যুর কারণ জানার পর পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।