খুলনায় মাদ্রাসা ছাত্রীকে অপহরণ

খুলনা নগরীতে এক মাদ্রাসাছাত্রীকে অপহরণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় পুলিশ গতকাল মঙ্গলবার রাতে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি হলেন আজহারুল ইসলাম রাশেদ (২৭)। এ ঘটনায় গতকাল ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে সৌরভকে (২৪) প্রধান আসামি করে আজহারুলসহ চারজনের নামে মামলা দায়ের করেন। অন্য আসামিরা হলেন খোর্শেদ আলম (৩২) ও শিরিন আক্তার (২৬)।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, মাদ্রাসার দশম শ্রেণির ওই ছাত্রী গত সোমবার বিকেলে বাসার সামনে একটি দোকানে গেলে আসামিরা জোর করে তাকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যান। এজাহারে বাদী অভিযোগ করেন, এ ঘটনার পর সৌরভের ভাই প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়ে জানান যে ‘তাঁর ভাই অপহরন করেছে– মেয়ের বাবা পারলে কিছু করুক।’
এজাহারে আরো বলা হয়, মেয়েটিকে মাদ্রাসায় আসা-যাওয়ার পথে সৌরভ কুপ্রস্তাব দিতেন এবং তাঁর প্রস্তাবে রাজি না হলে অপহরণের হুমকি দিতেন। সেই সময় মেয়ের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে তার বাবা কোনো মামলা বা জিডি করেননি।
সোনাডাঙ্গা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মারুফ আহমেদ জানান, ঘটনার পর থেকে সৌরভের মোবাইল ফোন বন্ধ রয়েছে। মেয়েটিকে উদ্ধার ও অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
অপহৃত ছাত্রীর বাবা জানান, সৌরভ মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি শাহজালাল সুজনের সঙ্গেই সব সময় থাকতেন। সৌরভ নিজেকে ছাত্রলীগ নেতা বলেই দাবি করতেন। সুজনকে এ ঘটনার বিষয়ে অবহিত করেছেন বলেও তিনি জানান।
এ ব্যাপারে সুজন জানান, সৌরভ তাঁর সঙ্গে থাকতেন এবং মিটিং-মিছিলে অংশ নিতেন। তবে তিনি ছাত্রলীগের কোনো পদে ছিলেন না। তিনি বলেন, ‘আমার সঙ্গে অনেকেই থাকে। সবার পারিবারিক বিষয় খোঁজ নেওয়া সম্ভব নয়। তবে আমি মেয়ের বাবাকে মামলা করার এবং পুলিশকে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছি। ওসি তদন্তও এই বিষয়টি নিয়ে আমাকে কয়েক দফা ফোনও করেছেন।’
সুজন অভিযোগ করেন, সৌরভের সঙ্গে ওই মেয়ের চার বছরের বেশি সময় ধরে প্রেম চলছিল। এই মেয়ের কারণেই সৌরভের প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে। তিনি বলেন, ‘তাদের প্রেম কাহিনী এলাকায় ওপেন সিক্রেট।’