মৌলভীবাজারে তিন কলেজছাত্রীকে শ্লীলতাহানি, চার যুবক গ্রেপ্তার
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2019/05/16/photo-1558027630.jpg)
মৌলভীবাজারে তিন কলেজছাত্রীকে শ্লীলতাহানি ও যৌন হয়রানির অভিযোগে চার যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে মৌলভীবাজার সদর থানায় প্রেস ব্রিফিং করে সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাশেদুল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শহরের ইকোপার্ক এলাকা থেকে মামলার এজাহারভুক্ত চার আসামি নাভেদ (১৮), সায়েম (২৪), মুন্না (২২) ও লোকমানকে (২৪) গ্রেপ্তার করা হয়।
প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলমগীর হোসেন।
ঘটনার বিবরণ ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মৌলভীবাজার শহরের একটি মেস বাড়িতে ভাড়া থাকতেন ওই তিন ছাত্রী। দীর্ঘদিন থেকে কলেজে আসা যাওয়ার পথে তাঁদের প্রেমপ্রস্তাব, নানা অশ্লীল কথা ও অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে উত্ত্যক্ত করত ওই এলাকার নাভেদ, সায়েম, মুন্না ও লোকমান।
গত সোমবার বিকেলে এক ছাত্রী কলেজের ইনকোর্স পরীক্ষা দিয়ে বাসায় ঢোকেন। ওই সময় উঠানে বসে থাকা নাভেদ আহমদ, তার সহযোগী সায়েম, মুন্না ও লোকমান তাঁকে উদ্দেশ করে নানা অশ্লীল কুরুচিপূর্ণ কথাবার্তা বলতে থাকে। এ সময় ওই ছাত্রী বাসায় থাকা অন্য দুজনকে ঘটনাটি বলেন। তাঁরা ঘর থেকে বের হয়ে এক সঙ্গে এ ঘটনার প্রতিবাদ জানালে নাভেদ ও তার সহযোগীরা ক্ষিপ্ত হয়ে এক ছাত্রীর চুলের মুঠি ধরে মাটিতে ফেলে দেয় এবং তাঁর শরীরের স্পর্শকাতর অঙ্গে হাত বুলিয়ে যৌন নিপীড়ন করে। এ সময় অন্য দুই ছাত্রী প্রতিবাদ জানালে সায়েম, লোকমান ও মুন্নাসহ আরো দুই-তিনজন তাদের দুজনকে কিল ঘুষি ও লাথি মেরে তাদের জখম করে। মারধর করে তাদের পরনের কাপড়ও খুলে ফেলার চেষ্টা করে এবং তাদের শরীরের স্পর্শকাতর অঙ্গে হাত বুলিয়ে যৌন নিপীড়ন করে।
এরপর ঘটনাটি মুঠোফোনে দুই ছাত্রীর খালাত ভাই এক শিক্ষককে জানালে তিনি তাঁর কয়েকজন সহকর্মীকে নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে তাঁরা বাড়ির মালিক ও নাভেদ আহমদের চাচা শফিকুর রহমানের কাছে বিচার চান। এই খবর শুনে নাভেদ আহমদসহ তার অন্য সহযোগীরা যৌন হয়রানির শিকার তিন ছাত্রীসহ উপস্থিত সবাইকে গালিগালাজ করে হেনস্থা করে এবং তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলে এ নিয়ে মামলা মোকদ্দমা ও বাড়াবাড়ি করলে সবাইকে খুন করা হবে।
এই ঘটনার পর উপস্থিত লোকজন আহত তিন ছাত্রীকে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়। সেদিন রাতে ওই শিক্ষক মৌলভীবাজার সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।