আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবশ্যই ভালো : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, প্রকাশক ফয়সল আরেফিন দীপনকে হত্যা এবং তিন প্রকাশক-ব্লগারের ওপর হামলা দেশকে অস্থিতিশীল করতে স্বাধীনতাবিরোধীদের নতুন কৌশল।
আজ রোববার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, তবে যারাই হামলার সঙ্গে জড়িত তাদের ঠিকই ধরে ফেলা হবে।
আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, ‘আমাদের গোয়েন্দারা কাজ করছে, পুলিশ কাজ করছে, সবাই কাজ করছে। অগ্রগতির মধ্যে আমি আপনাদের বলতে পারি, আমরা নিশ্চয়ই এই অপরাধীদের ধরব। যারা করেছে, কী উদ্দেশে করেছে, সবই আমরা প্রকাশ করব। কিন্তু আমাদের পুলিশ ও গোয়েন্দা তৎপরতায় আছে। তারা এখনো রিপোর্ট দেয়নি। রিপোর্ট পাওয়ার পর আপনাদের জানাব। কাল দুটি এলাকায় সিটি করপোরেশনের বন্ধের দিন ছিল, বন্ধের দিন হওয়াতে ঘাতকরা এ সুযোগ নিয়েছে।’
তবে আজিজ মার্কেটের এক ব্যবসায়ীর কাছে জানতে চাইলে তিনি এনটিভি অনলাইনকে বলেন, মার্কেট খোলা ছিল।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, ‘একটা সিসি ক্যামেরার খুব দাম না। কিন্তু এ দুটি জায়গায় কোনো ক্যামেরা ছিল না।’
যদিও বার্তা সংস্থা ইউএনবি জানিয়েছে, মার্কেটের বিভিন্ন স্থানে মোট আটটি সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো ছিল।
আজিজ কো-অপারেটিভ দোকান মালিক ও ব্যবসায়ীদের কল্যাণ সমিতির সহসভাপতি ইফতেখার হোসেন বলেছেন, হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে ও দোষীদের শনাক্ত করতে সিসিটিভির ফুটেজ সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে।
সচিবালয়ে মন্ত্রী সাংবাদিকদের আরো বলেন, ‘আগেও বলেছি, যারাই আনসারুল্লাহ বাংলা টিম, সেটা জেএমবি, সেটাই হরকাতুল জিহাদ এই সবই একইসূত্রে গাঁথা। সবই স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি। আগেকার জামায়াত-শিবির বর্তমানে নতুন কায়দায় ধ্বংসাত্মক কাজ করার জন্য লিপ্ত হচ্ছে।’
সার্বিকভাবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কেমন জানতে চাইলে কামাল সাংবাদিকদের বলেন, অবশ্যই ভালো। তিনি আরো বলেন, ‘এ ধরনের বিচ্ছিন্ন ঘটনা এই যুগে কোন জায়গায় কোন দেশে না হয় আপনারা সেটা আমাকে বলবেন। অস্ট্রেলিয়াতে হচ্ছে, আমেরিকায় হচ্ছে, ফ্রান্সে হচ্ছে। ধরাও পড়ছে, আমাদেরটাও ধরা পড়বে ইনশাল্লাহ।’
গতকাল শনিবার রাজধানীর লালমাটিয়ায় নিজ কার্যালয়ে কুপিয়ে ও গুলি করে প্রকাশনা সংস্থা শুদ্ধস্বরের মালিক আহমেদুর রশীদ টুটুল, লেখক-ব্লগার রনদীপম বসু ও তারেক রহিমকে আহত করে দুর্বৃত্তরা। পরে আরেক প্রকাশনা সংস্থা জাগৃতির মালিক ফয়সল আরেফিন দীপনকে আজিজ সুপার মার্কেটের কার্যালয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। দুটি প্রকাশনী থেকেই ব্লগার অভিজিৎ রায়ের বই প্রকাশিত হয়েছিল।