খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে তল্লাশির অনুমতি
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2015/03/01/photo-1425215945.jpg)
রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়ে তল্লাশি চালাতে পুলিশকে অনুমতি দিয়েছেন আদালত। হত্যাচেষ্টা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দায়ের করা একটি মামলার সূত্র ধরে আজ রোববার বিকেলে গুলশান থানা পুলিশ ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে তল্লাশির আবেদন জানায়। মহানগর হাকিম এস এম মাসুদ জামান আবেদন মঞ্জুর করে পুলিশি তল্লাশির আদেশ দেন।
তল্লাশির এ আদেশকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যমূলক বলে অভিহিত করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি খন্দকার মাহবুব উদ্দিন। সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে, তিনি এই মন্তব্য করেন। পুলিশ সেখানে অবৈধ বোমা-গ্রেনেড রেখে, খালেদা জিয়াকে ফাঁসাতে পারে -এমন আশংকা প্রকাশ করে আইনজীবীদের উপস্থিতিতে পুলিশকে তল্লাশি করার দাবি জানান তিনি।
গত ১৬ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর গুলশানে নৌমন্ত্রী শাজাহান খানের মিছিলে বোমা হামলার অভিযোগে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে প্রধান আসামি করে ১৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার আলকরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইসমাঈল হোসেন বাচ্চু গুলশান থানায় মামলাটি করেন। গুলশান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ফিরোজ কবিরকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা, বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, বিএনপির প্রেসসচিব মারুফ কামাল খান, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদ, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার মাহবুব হোসেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হুমায়ুন কবির খান, রাজধানীর বাড্ডার সাবেক ওয়ার্ড কমিশনার আবদুল কাইয়ুম, ঢাকা-১২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য দেওয়ান সালাহ উদ্দিন, চাঁদপুরের মোস্তফা ও মামুন এবং ঢাকার ভাটারার মানিক।
এর আগে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় হাজিরা না দেওয়ায় খালেদা জিয়ার জামিন বাতিল করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। পরোয়ানা জারির পর করণীয় নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। বৈঠকে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত বেরিয়ে না এলেও আইনি প্রক্রিয়ায় মামলা মোকাবিলা করা হবে বলে জানিয়েছেন অ্যাডভোকেট মাহবুব হোসেন।
সর্বশেষ গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর সপ্তমবারের মতো আদালতে হাজিরা দিয়েছিলেন মামলার অন্যতম আসামি খালেদা জিয়া। দুটি মামলায় খালেদা জিয়া ও তাঁর ছেলে তারেক রহমানসহ মোট নয়জনকে আসামি করা হয়েছে। ২০০৮ ও ২০১১ সালে মামলা দুটি করে দুদক। অভিযোগ গঠিত হয় গত বছরের মার্চে। মামলা দুটির ৬৩ কার্যদিবসে সাতবার আদালতে হাজিরা দিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন। এ দুটি মামলা ছাড়াও তাঁর বিরুদ্ধে গ্যাটকো, নাইকো, বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলা রয়েছে।