গ্রামীণফোনের বিরুদ্ধে ৬৯১ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলা

কর্মচারীদের প্রফিট ফান্ডের ৬৯১ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে গ্রামীণফোনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আজ রোববার সকালে ঢাকা মহানগর হাকিম ইউসুফ হোসেনের আদালতে গ্রামীণফোনের শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের পাঁচ কর্মচারী এ মামলাটি করেন।
এঁরা হলেন গ্রামীণফোন লিমিটেডের পরিবহন শ্রমিক মেহেদী হাসান, মাসদি হাসান, ডেটা অ্যান্ট্রি অপারেটর মো. সোহাগ, অফিস সহকারী আফজাল হোসেন ও অপটিক্যাল ফাইভার অপারেটর নিজাম উদ্দিন।
মামলাটি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ পাঁচ বাদীর পক্ষে গ্রামীণফোন লিমিটেডের পরিবহন শ্রমিক মেহেদী হাসান বিচারকের কাছে ফৌজদারি কার্যবিধির ২০০ ধারা মোতাবেক জবানবন্দি দেন। বিচারক জবানবন্দি গ্রহণ করে আগামী ধার্য তারিখের মধ্যে ভাটারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
মামলায় বাদীপক্ষের আইনজীবী মাহমুদুল হাসান সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলায় আসামি করা হয়েছে গ্রামীণফোন লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও), গ্রামীণফোন ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান, ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য কাজী শাহেদ আহম্মেদ, মাইনুর রহমান ভুঁইয়া, মাইনুল কাদের ও আহম্মেদ মনজুর দোলা।
মামলার বরাত দিয়ে আইনজীবী জানান, আসামিরা গ্রামীণফোন ওয়ার্কার্স প্রফিট ফান্ড অ্যান্ড ওয়েলফেয়ার ফান্ডের এক হাজার ৩০০ কর্মচারীর ৬৯১ কোটি টাকা দুর্নীতির মাধ্যমে আত্মসাৎ করেছেন।
পাওনা টাকার জন্য মামলার বাদীরা আবেদন করলে আসামিরা বিভিন্নভাবে বাদীদের অপমান ও অপদস্ত করতেন।
মামলায় আরো বলা হয়, ২০১০ সালে সরকার কোম্পানির লাভের পাঁচ শতাংশ শ্রমিক-কর্মচারীদের মধ্যে বণ্টন করার ঘোষণা দেয়, যা ২০১৩ সালের ২৪ অক্টোবর গ্রামীণফোন লিমিটেডের পরিচালক সভায় পাস হয়।
সর্বশেষ, চলতি বছরের মার্চ মাসে আসামিরা শ্রমিকদের বঞ্চিত করে লভ্যাংশের ৬৯১ কোটি ৩৮ লাখ ৬৬ হাজার ১৮৩ টাকা না দিয়ে ভাগবাটোয়ারা করে দুর্নীতির মাধ্যমে আত্মসাৎ করেন।
এতে বাদীরা ক্ষুব্ধ হয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৬/৪১৭/৪১৮/৪২৬/৪৭৭ এ ধারায় মামলাটি করেন।