চট্টগ্রামে ওষুধ ব্যবসায়ীদের বাধায় অভিযান পণ্ড
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2015/11/24/photo-1448376711.jpg)
চট্টগ্রামে ব্যবসায়ীদের বাধায় পণ্ড হয়ে গেছে ওষুধের দোকানে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান। নগরীর কোতোয়ালি থানাধীন কেসি দে রোড এলাকায় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনায় পুলিশের দুই সদস্যসহ ১০ জন আহত হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ১৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেট রুহুল আমিনের নেতৃত্বে ওষুধের দোকানে অভিযান শুরু করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযানের শুরুতে তিনটি ওষুধের দোকান থেকে বিক্রি নিষিদ্ধ ওষুধ জব্দ করা হয়। এ ছাড়া বিক্রির জন্য নয় এমন ওষুধ বিক্রি করার দায়ে ১২ হাজার টাকা জরিমানা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
এদিকে এই অভিযানের কারণে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন ব্যবসায়ীরা। একপর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। আহত হন পুলিশের দুই সদস্য।
ব্যবসায়ীদের দাবি, ভ্রাম্যমাণ আদালত অহেতুক আভিযান চালাচ্ছেন। আর এতে তাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এ ছাড়া জীবন রক্ষাকারী বিদেশি ওষুধ অবৈধ নয়। চিকিৎসকের চাহিদা অনুযায়ী তাঁরা এসব বিক্রি করেন।
এ বিষয়ে স্থানীয় ওষুধ ব্যবসায়ী মো. আলী বলেন, ওষুধ অতি প্রয়োজনীয় বস্তু। রোগীর প্রয়োজনে এটি কিনতেই হবে। ক্রেতার চাহিদার জন্য আমাদের এসব ওষুধ আনতে হয়, বিক্রি করতে হয়। জীবন রক্ষাকারী ওষুধ কখনোই বেআইনি হয় না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
তবে ভ্রাম্যামাণ আদালত বলছেন, চার মাস ধরে তাঁরা ধারাবাহিকভাবে এ অভিযান পরিচালনা করছেন। আজ এ রকম অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হলেও অভিযান বন্ধ হবে না।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রুহুল আমিন বলেন, ব্যবসায়ীদের একটি অংশ এই অভিযান চান। তাঁরা ভ্রাম্যমাণ আদালতের সঙ্গেই ছিলেন। তবে কিছু ‘দুষ্টু প্রকৃতির’ ব্যবসায়ী বহিরাগত লোক এনে অভিযান বন্ধ করতে চেয়েছিল।
বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে জানান কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জসিম উদ্দিন। ঘটনা সম্পর্কে তিনি বলেন, বিধি মোতাবেক ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সময় কিছু উচ্ছৃঙ্খল ব্যবসায়ী আদালতের কাজে বাধা সৃষ্টি করে। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার চেষ্টা করলে তারা সরকারি কাজে বাধা সৃষ্টি করে। পরে অতিরিক্ত পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে বলে জানান তিনি।
হামলার ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলেও জানান ওসি।
এদিকে ঘটনার পর হাজারী গলিসহ আশপাশের এলাকায় তিন শতাধিক ওষুধের দোকান বন্ধ করে দেন ব্যবসায়ীরা। যেকোনো ধরনের পরিস্থিতি এড়াতে এলাকায় বিপুল পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।