‘শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নে সরকারের সদিচ্ছার অভাব রয়েছে’
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2015/12/02/photo-1449071273.jpg)
পার্বত্য শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নে সরকারের সদিচ্ছার অভাব রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন পার্বত্য জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) কেন্দ্রীয় কমিটির সহসাধারণ সম্পাদক গুনেন্দ বিকাশ চাকমা।
পার্বত্য শান্তিচুক্তির ১৮তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আজ বুধবার বান্দরবনের রাজারমাঠে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ অভিযোগ করেন।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে গুনেন্দ বিকাশ চাকমা বলেন,‘পার্বত্য শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নে সরকারে সদিচ্ছার অভাব রয়েছে। শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নে সরকার আন্তরিক নয়। চুক্তির মৌলিক দিকগুলো বাস্তবায়ন না করে সরকার উল্টো চুক্তি পরিপন্থী নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। চুক্তি লঙ্ঘন করে তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ পুনর্গঠন করা হয়েছে।’
বিকাশ চাকমা আরো বলেন,‘পাহাড়ের প্রধান সমস্যা হচ্ছে ভূমি। ভূমি জটিলতার নিরসন ছাড়া পার্বত্যাঞ্চলে কোনোদিনও স্থায়ী শান্তি আসবে না, আসতে পারে না। ভূমি জটিলতাসহ সব সমস্যা নিরসনে সরকার সদিচ্ছা দেখাবে এবং চুক্তি বাস্তবায়নে এগিয়ে আসবে এটাই আমাদের প্রত্যাশা। অন্যথায় বিকল্প রাস্তা খোঁজে নেওয়া হবে।’
জেলা জনসংহতি সমিতির সাধারণ সম্পাদক উছোচিং মারমার সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে রুমা উপজেলা চেয়ারম্যান অংথোয়াই চিং মারমা, জেলা হিল উইম্যান্স ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মিশিপ্রু চাকমা, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতা বুলবুল চাকমা, যুব ফেডারেশনের নেতা মংএচিং মারমাসহ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা বক্তব্য দেন।
এদিকে সমাবেশের আগে শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নের দাবিতে বান্দরবান শহরে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জেএসএসসহ সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতা-কর্মীরা। চুক্তির বর্ষপূর্তির বিক্ষোভ সমাবেশে যোগ দিতে সকাল থেকে পিকআপ এবং ট্রাকে করে পাহাড়ি নেতা-কর্মীরা বিভিন্ন স্থান থেকে রাজারমাঠে এসে জড়ো হয়।
১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর দিনে পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার এই চুক্তিটি করে।