প্লাস্টিক পণ্য বাজারজাত নিষিদ্ধ : মির্জা আজম
বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম বলেছেন, দেশের বাজারে প্লাস্টিক পণ্য বাজারজাত নিষিদ্ধ। আজ বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।
মির্জা আজম বলেন, পাটের ব্যাগের ব্যবহার নিশ্চিত করতে প্লাস্টিক কারখানাগুলোর বেআইনি উৎপাদন ও সরবরাহ কার্যক্রম বন্ধের জন্য উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। তিনি বলেন, ‘আমরা খোঁজখবর নিয়ে দেখেছি, দেশে লাইসেন্স নেওয়া ২৪টি প্লাস্টিক পণ্য উৎপাদনকারী কারখানা আছে। কিন্তু দেশে বর্তমানে ১০০টির বেশি বড় বড় কারখানা প্লাস্টিক পণ্য উৎপাদন করছে।’
‘এ ছাড়া যারা উৎপাদনের লাইসেন্স নিয়ে প্লাস্টিক পণ্য উৎপাদন করছে, সেখানে শর্তই ছিল তারা প্লাস্টিক পণ্য উৎপাদন করে বিদেশে রপ্তানি করবে। কিন্তু দেশে প্লাস্টিক পণ্য বাজারজাতের কোনো অনুমতি ওই লাইসেন্সে নেই’, যোগ করেন মির্জা আজম।
প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, প্লাস্টিকের ব্যাগ উৎপাদনকারী কারখানা পরিদর্শন করে রিপোর্ট দিতে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে আট সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে এই কমিটি গাইডলাইন (নির্দেশিকা) অনুযায়ী কিছু নির্ধারিত বিষয়ে প্রতিবেদন জমা দেবে।
মির্জা আজম বলেন, এ সময়ের মধ্যে কমিটি বাংলাদেশে কতটি প্লাস্টিক কারখানা রয়েছে, তাদের লাইসেন্স আছে কি না, লাইসেন্স থাকলে তার শর্ত কী, তারা প্লাস্টিকের পণ্য উৎপাদনে কাঁচামাল আমদানিতে শুল্ক দিচ্ছে কি না, পরিবেশের ওপর প্লাস্টিক পণ্যের কী প্রভাব ফেলছে—এসব বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিল করবে। এই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে প্লাস্টিক কারখানার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী আশা প্রকাশ করে বলেন, আগামী বছর পাটের উৎপাদন আরো ৫০ শতাংশ বাড়বে। এ সময় তিনি বলেন, ‘বিশ্বব্যাংকের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী বাংলাদেশের গৌরবোজ্জ্বল পাটশিল্পকে ধ্বংস করে গেছে আগের সরকারগুলো। আমরা এই পাটশিল্পের গৌরবময় দিন আবার ফিরিয়ে এনেছি। কৃষক এখন পাটের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছে। হাসি আছে তাঁদের মুখে।’