১৫ বছরে বন্যাজনিত ক্ষতি তিনগুণ হওয়ার আশঙ্কা

জলবায়ু পরিবর্তন, অপরিকল্পিত নগরায়ন, জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও প্রতিরোধমূলক কর্মসূচি গ্রহণ না করার কারণে ২০৩০ সাল নাগাদ বাংলাদেশসহ বিশ্বের বন্যাঝুঁকির মধ্যে থাকা কয়েকটি দেশে এই প্রাকৃতিক দুর্যোগজনিত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে তিনগুণ। সম্প্রতি একটি আন্তর্জাতিক গবেষণা সংস্থা এমন আশঙ্কাই প্রকাশ করেছে।
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয়। ওয়ার্ল্ড রিসোর্স ইনস্টিটিউট (ডব্লিউআরআই) নামের একটি আন্তর্জাতিক গবেষণা সংস্থার লব্ধ তথ্যের ওপরে ভিত্তি করে এমন তথ্য জানিয়েছে ব্লুমবার্গ।
বিশ্বে সামগ্রিক বন্যা পরিস্থিতির ওপর চালানো গবেষণায় ডব্লিউআরআইয়ের সাথে নেদারল্যান্ডসের আরো চারটি গবেষণা সংস্থা অংশগ্রহণ করে। নদীবিধৌত অঞ্চলের বন্যা আক্রান্ত জনসংখ্যার ওপর ভিত্তি করে ১৬৩টি দেশের একটি তালিকা তৈরি হয়েছে গবেষণা প্রতিবেদনে।
তালিকায় ১৫টি দেশকে বিশেষভাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব দেশের জনসংখ্যার শতকরা ৮০ জন প্রায়ই বন্যা আক্রান্ত হন। বন্যার ঝুঁকিতে সবার ওপরে আছে ভারত, এরপরেই বাংলাদেশের স্থান। তালিকায় এরপর আছে চীন, ভিয়েতনাম, পাকিস্তান ও ইন্দোনেশিয়া।
গবেষণায় দেখা গেছে, বিশ্বে এখন প্রতিবছর বন্যায় দুই কোটি ১০ লাখ মানুষ আক্রান্ত হয়। এতে ক্ষতি হয় নয় হাজার ৬০০ কোটি টাকার বেশি। আশঙ্কা করা হচ্ছে, আসছে ১৫ বছরে এ সংখ্যা তিনগুণ হয়ে যাবে। পাল্লা দিয়ে বাড়বে ক্ষতির পরিমাণও। অর্থাৎ ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বে বন্যায় আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা দাঁড়াবে পাঁচ কোটি ৪০ লাখ। এতে বিশ্ব অর্থনীতিতে সম্ভাব্য ক্ষতি হবে প্রায় ৫২ হাজার ১০০ কোটি টাকা।
ডব্লিউআরআইয়ের ওই প্রতিবেদনের ওপরে সম্প্রতি একটি বিশেষ প্রতিবেদন তৈরি করেছে বিবিসি। তাতে বলা হয়, বন্যা প্রতিরোধে অর্থের বরাদ্দ বাড়ানোর সময় এসেছে। সময়মতো অর্থ ব্যয় না করতে পারলে ক্ষতির পরিমাণ বহুগুণ বেড়ে যেতে পারে।