রাঙামাটিতে সরছেন না স্বতন্ত্র ৩ মেয়র প্রার্থী!
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2015/12/13/photo-1449945162.jpg)
রাঙামাটি পৌরসভা নির্বাচনে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন রোববার। সোমবার প্রতীক নির্ধারণ। আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী আর জনসংহতি সমিতির সমর্থিত প্রার্থী ছাড়া মেয়র পদে প্রার্থী হিসেবে আছেন আরো তিনজন।
এঁদের মধ্যে সাবেক মেয়র হাবিবুর রহমান আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েও পাননি। ফলে তাঁকে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবেই চিহ্নিত করছে আওয়ামী লীগ।
তবে দলীয় মনোনয়ন না চাওয়ায় আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের উপপ্রচার সম্পাদক অমর কুমার দেকে বিদ্রোহী প্রার্থী বলার সুযোগ নেই। তবু দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ এনে তাঁর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতে পারে দলটি।
অন্যদিকে আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা শ্রমিক দলের সিনিয়র সহসভাপতি রবিউল আলম রবির সঙ্গে শনিবার দুপুরে এক ‘ব্যর্থ’ বৈঠক করেছেন জেলা বিএনপির দুই শীর্ষস্থানীয় নেতা। তবে সেই বৈঠকেও নিজের পুরোনো অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়ে ‘কোনো অবস্থাতেই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াবেন না’ বলে স্পষ্টই জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।
শনিবার এনটিভি অনলাইনকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর কোনো সম্ভাবনাই নেই বলে জানিয়েছেন তিন স্বতন্ত্র প্রার্থীই। কোনো চাপ বা ভয়ভীতির কাছে নতি স্বীকার করবেন বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হাবিবুর রহমান বলেন, ‘কোনো অবস্থানেই আমি নির্বাচন থেকে সরছি না, এটা নিশ্চিত থাকেন। আমি প্রচার প্রচারণার কাজ করছি। ৩০ ডিসেম্বর দেখা যাবে।’
দল সাংগঠনিক পদক্ষেপ নিলে কী করবেন, এমন প্রশ্নের জবাবে হাবিবুর রহমান বলেন, ‘সেটা সময় এলে দেখা যাবে।’
প্রতীক ছাড়াই পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন এই প্রার্থী।
স্বতন্ত্র প্রার্থী অমর কুমার দে জানিয়েছেন, ‘আমাকে নির্বাচন থেকে সরাতে আমার পরিবারের সদস্যদের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে আওয়ামী লীগ। আমার ভাইদের ওপর চাপ দিচ্ছে। কিন্তু কোনো অবস্থাতেই নির্বাচন থেকে সরবো না আমি।’
স্বতন্ত্র প্রার্থী রবিউল আলম রবি বলেন, ‘আমার সঙ্গে তাঁরা (বিএনপির দুই নেতা) বৈঠক করেছেন। তাঁরা তাঁদের কথা বলেছেন, আমি আমার কথা বলেছি। আমি জানিয়ে দিয়েছি নির্বাচন থেকে আমি সরছি না।’
এসব ব্যাপারে জানতে চাইলে রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মুছা মাতব্বর বলেন, ‘আমরা তাঁদের দুজনের সঙ্গেই একাধিকবার বসেছি। কিন্তু নির্বাচন থেকে সরবেন না বলে জানাচ্ছেন। তবু আমরা শেষ চেষ্টা চালাচ্ছি। একদিন তো সময় আছে, দেখা যাক। আর তারা যদি না সরে যান সে ক্ষেত্রে নেত্রী (শেখ হাসিনা) তো বলেই দিয়েছেন সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতে। আমরাও সেই মোতাবেক ব্যবস্থা নেব।’
রাঙামাটি জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক দীপন তালুকদার বলেন, ‘রবির সঙ্গে আমরা দফায় দফায় বৈঠক করেছি। তিনি অনঢ় অবস্থানেই আছেন। তিনি আমাদের জেলা শ্রমিক দলের সিনিয়র সহসভাপতি ও জেলা বিএনপির বিগত কমিটির গ্রাম সরকারবিষয়ক সম্পাদক। আমরা শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত আশাবাদী যে তিনি মনোনয়ন তুলে নেবেন। আর তা যদি না করেন, সে ক্ষেত্রে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’