ভেজাল ওষুধ তৈরি, চিকিৎসক দম্পতি আটক
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2015/12/13/photo-1450022889.jpg)
ভেজাল ওষুধ তৈরি ও বিপণনের অভিযোগে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের চিকিৎসক দম্পতিসহ পাঁচজনকে আটক করেছে পাহাড়তলী থানা পুলিশ। এ ছাড়া পাঁচলাইশ বিবিরহাট এলাকায় বিক্রি নিষিদ্ধ ওষুধ বিক্রি ও লাইসেন্স বিহীন ব্যবসা পরিচালনার দায়ে তিনটি ফার্মেসি বন্ধসহ ৯০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আজ রোববার চট্টগ্রামে পৃথক অভিযান চালিয়ে এসব জরিমানা আদায় এবং পাঁচজনকে আটক করা হয়।
থানা পুলিশ জানায়, কাট্টলীতে সিটি করপোরেশন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. নজিবুল হক ও পাহাড়তলী মোস্তফা হাকিম মাতৃসদন হাসপাতালের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জান্নাতুল মাওয়াকে দীর্ঘদিন ধরে অনুমোদনবিহীন ওষুধ তৈরি ও বিপণনের অভিযোগে আটক করেছে পুলিশ। পুলিশের অভিযান চলাকালে ওষুধ তৈরি ও বিপণনের কোনো লাইসেন্স দেখাতে পারেনি চিকিৎসক দম্পতি। একই সময় ওষুধ কারখানা থেকে আরো তিনজন কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে আটক করে পুলিশ।
পাহাড়তলী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মতিউর রহমান জানান, ওষুধ কারখানায় অভিযানের পর লাইসেন্সবিহীন ওষুধ উদ্ধার করা হয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে চ্যালেঞ্জ করে চিকিৎসক দম্পতি। ওষুধ প্রশাসনের কাছে এ ব্যাপারে অভিযোগ করা হলে প্রশাসনের নির্দেশে পুলিশ তাঁদের গ্রেপ্তার করে।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী জানান, তিনি এ অভিযোগ শুনেছেন। চিকিৎসক দম্পতির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও পুলিশকে বলেছেন।
এদিকে, জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রুহুল আমিন পাঁচলাইশ হামজারবাগ এলাকায় অভিযান চালিয়ে সরকারি হাসপাতালের ওষুধ, ফিজিশিয়ান স্যাম্পল, ফুড সাপ্লিমেন্ট ও বিক্রয় নিষিদ্ধ ভারতীয় ওষুধ জব্দ করেছেন। এ সময় ছয়টি ফার্মেসিকে ৯০ হাজার টাকা জরিমানা এবং তিনটি ফার্মেসি বন্ধ করে দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রুহুল আমিন জানান, মুরাদপুরের রাজদ্বীপ ফার্মেসিতে সরকারি ওষুধের প্যাকেটে কালো কালি দিয়ে মুছে দিয়ে এসব ওষুধ বিক্রি করছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। এ সময় ফার্মেসির মালিক শিমুল চক্রবর্তীকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। হামজারবাগ তমা ফার্মেসি লাইসেন্স নবায়ন না করা এবং নোংরা পরিবেশে ওষুধ সংরক্ষণ করায় ফার্মেসির মালিক হারাধন দেকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। সোহা মেডিকেল পয়েন্টে লাইসেন্স ছাড়া ব্যবসা পরিচালনা এবং ফিজিশিয়ান স্যাম্পল বিক্রি করার দায়ে রবিউল হোসেনকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
ভারতীয় ওষুধ ও ফুড সাপ্লিমেন্ট বিক্রির দায়ে আরেফিন ফার্মেসির মালিক শামসুল আরেফিনকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ফুড সাপ্লিমেন্ট ও ভারতীয় ওষুধ বিক্রির দায়ে সবুজ ফার্মেসির মালিক শংকর দেকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযানের সময় ওষুধ প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।