মেয়র পদে লড়ছেন আওয়ামী লীগেরই চারজন
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2015/12/15/photo-1450152538.jpg)
মাদারীপুরের অবহেলিত কালকিনি পৌরসভা নির্বাচনে উত্তাপ এখন তুঙ্গে। বিএনপি এই পৌরসভায় মেয়র পদে কাউকে মনোনীত না করলেও আওয়ামী লীগের রয়েছে ‘বিদ্রোহী’ সমস্যা। গত ১৩ ডিসেম্বর ছিল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন। কিন্তু বিদ্রোহীদের কেউ মনোনয়ন প্রত্যাহার না করায় লড়াইটা জমে উঠেছে। আওয়ামী লীগেরই ‘তিন প্রার্থী’ লড়াইয়ে নেমেছেন একে অপরের বিরুদ্ধে। এ কারণে ‘নাগরিক সুবিধাবঞ্চিত’ এ পৌরসভার ভোটারদের কদর এ মুহূর্তে অনেক বেশি। আর এই সুযোগে ভোটাররাও প্রার্থীদের কাছ থেকে আদায় করে নিচ্ছেন উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি।
বিদ্রোহী প্রার্থী ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কালকিনি পৌরসভা ১৯৯৭ সালে গঠন করা হলেও উন্নয়নের দিক দিয়ে সবচেয়ে পিছিয়ে। ৩১ বর্গ কিলোমিটার আয়তনবিশিষ্ট দ্বিতীয় শ্রেণীর এ পৌরসভায় নেই একটিও সড়কবাতি। নেই পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থাসহ তেমন কোনো নাগরিক সুবিধা। বিদ্যুৎবিহীন রয়েছে অনেক এলাকা। ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে বাঁশের সাঁকো।
বর্তমান মেয়র এনায়েত হোসেনকে কেন্দ্রীয়ভাবে মনোনয়ন দিয়েছে আওয়ামী লীগ। আর এটাকে কেন্দ্র করে পদত্যাগ করেন উপজেলা ও পৌরসভা আওয়ামী লীগের সব নেতা-কর্মী।
কেন্দ্রীয়ভাবে বারবার চেষ্টা করলেও সমাধান না হওয়ায় জেলা আওয়ামী লীগের আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সরদার লোকমান হোসেন ও সাবেক উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মশিউর রহমান সবুজ বিদ্রোহী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন। প্রচার-প্রচারণায় মুখর সব জায়গায়। দিনরাত প্রার্থীরা ছুটছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। তাই এবার ভোটারদের মূল্যায়ন সবার ওপরে।
কাউন্সিলর পদে ৩৪ জন এবং সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে আটজন লড়ছেন। এ পৌরসভায় ১৪ হাজার ৫৩ জন পুরুষ এবং ১৩ হাজার ৬৫৮ জন নারী তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
এলাকার উন্নয়ন সবার ওপরে রেখে ভোটাররা জানান, যোগ্যতার ভিত্তিতেই ভোট দেবেন তাঁরা।
অবহেলিত কালকিনিতে চলছে আওয়ামী লীগ সমর্থিত ও বিদ্রোহীদের জোর তৎপরতা এবং নানামুখী আশ্বাস।
মেয়র পদে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ বলেন, তিনি জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। আরেক বিদ্রোহী প্রার্থী সরদার লোকমান হোসেনও একই কথা বলেন।
আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এনায়েত হোসেন বলেন, ‘মানুষ এখন রিলিফ চায় না। মানুষ এখন উন্নয়ন চায়: রাস্তা, ব্রিজ, কালভার্ট, বিদ্যুৎ, বিশুদ্ধ খাবার পানি সরবরাহ ইত্যাদি। নৌকা জয় লাভ করলে এসব উন্নয়ন করা সম্ভব হবে।’
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন জানান, নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য নানামুখী কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।