প্রশিক্ষণে এসে আটক নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2016/01/11/photo-1452523189.jpg)
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান জামায়াত নেতা তোফাইল আহমদকে আটক করা হয়েছে। গতকাল রোববার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে রাজধানী ঢাকার একটি হোটেল থেকে তাঁকে আটক করা হয়।
পুলিশ ও হোটেল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তোফাইল আহমদ কক্সবাজারের রামুর বৌদ্ধ মন্দিরে হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলার আসামি। বর্তমানে তিনি জামিনে রয়েছেন।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্টে (বিআইএম) স্থানীয় সরকার বিভাগের বাস্তবায়নাধীন উপজেলা গর্ভন্যান্স প্রজেক্ট কর্তৃক আয়োজিত ‘উপজেলা পরিষদ আইন ও প্রশাসন’ শীর্ষক মৌলিক (রিফ্রেশার্স) প্রশিক্ষণে অংশ নিতে ঢাকায় গিয়েছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান। গত শনি ও রোববার এ প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়।
তোফাইলের স্ত্রী মনোয়ারা আক্তার জেসমিন সাংবাদিকদের জানান, রাজধানীর সুন্দরবন হোটেলের ৪১৮ নম্বর কক্ষ থেকে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ও সাইবার সিকিউরিটি ইনন্টেলিজেন্সের সদস্যরা যৌথ অভিযানে উপজেলা চেয়ারম্যানকে আটক করেন।
এ সময় হোটেলের পাশের রুমে অবস্থানরত বান্দরবানের আলীকদম উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবুল কালাম আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের কাছ থেকে তোফাইলের আটকের বিষয়টি জানতে চান। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা জানান, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
জেসমিন জানান, তোফাইল আলীকদম উপজেলা চেয়ারম্যানকে তাঁকে আটকের বিষয়টি স্ত্রী ও স্থানীয় সংসদ সদস্যকে জানাতে অনুরোধ করেন।
তোফাইয়েল স্ত্রী আরো জানান, তাঁর স্বামী রামুর বৌদ্ধ মন্দিরে হামলার ঘটনার মামলাসহ সবকটি মামলায় জামিনে রয়েছেন। এ ছাড়া তোফাইলকে গ্রেপ্তার ও হয়রানি না করার জন্য উচ্চ আদালতের একটি নির্দেশনাও রয়েছে। কিন্তু সরকারি প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের জন্য তিনি ঢাকায় গিয়েছিলেন। সেখানে কেন তাঁর স্বামীকে আটক করা হয়েছে বিষয়টির তাঁর জানা নেই।
এর আগে পিবিআই সদস্যরা ২০১৫ সালের ২৪ অক্টোবর রাতে নাইক্ষ্যংছড়ির তোফাইল আহামদের ভাড়া বাসায় তল্লাশি চালিয়ে একটি ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোন জব্দ করেছিল বলে জানান তাঁর স্ত্রী।
হোটেল সুন্দরবনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘পিবিআই পরিচয় নিশ্চিত হয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অভিযানে সহযোগিতা করা হয়েছে। হোটেলের ৪১৮ নম্বর রুম থেকে চেয়ারম্যান তোফাইল আহমদকে আটক করে তারা নিয়ে যায়।’
নাইক্ষ্যংছড়ি থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল খায়ের জানান, রাজধানীর সুন্দরবন হোটেল থেকে পিবিআই সদস্যরা তোফায়েল আহমেদকে আটক করেছেন। তিনি বর্তমানে পিবিআই সদর দপ্তরে রয়েছেন।
উপজেলা চেয়ারম্যান তোফাইল আহমদের বিরুদ্ধে একটি ফৌজদারি মামলার অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে। আদালতে তা গৃহীত হয়েছে। এ কারণে গত ১ অক্টোবর স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপজেলা-২ শাখা থেকে তোফাইল আহামদকে উপজেলা চেয়ারম্যান পদ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।
পরে প্রজ্ঞাপনটির আইনগত বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে তোফাইল আহামদ হাইকোর্টে রিট মামলা করেন। এ পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৯ নভেম্বর তিনি তাঁর দায়িত্বভার ফিরে পান।