বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ, পরে যৌতুক দাবি
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক তরুণীকে ধর্ষণ করা হয়েছে। এই অভিযোগে মামলার পর এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে গজারিয়া থানার পুলিশ।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গজারিয়ার গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের এক তরুণীর সঙ্গে গ্রামের সুমন সরকারের (২৬) আড়াই বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলছে। সুমন মেয়েটিকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার তাঁকে ধর্ষণ করেন। সর্বশেষ গত ৪ জানুয়ারি রাতে তিনি মেয়েটিকে পুনরায় ধর্ষণ করেন। এ সময় মেয়েটির মামা সুমনকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন। সুমন সকাল হলে মেয়েটিকে বিয়ে করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন। তবে সকাল হলে তিনি বিয়ে না করে নানা টালবাহানা শুরু করেন। বাধ্য হয়ে ঘটনাটি গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানানো হয়। মুরব্বিরা বসে ১০ জানুয়ারি বিয়ের দিন ধার্য করেন। তবে ১০ তারিখ সুমন বিয়ে না করে এলাকার কিছু প্রভাবশালী লোককে হাত করে বিয়ের জন্য পাঁচ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। অন্যথায় মেয়ের পরিবারকে সপরিবারে গ্রাম ছাড়ার হুমকি দেন। এরপর মেয়েটি গতকাল রাতে গজারিয়া থানায় ধর্ষণ মামলা করেন।
মামলা দায়েরের পর পুলিশ গতকাল রাত থেকেই এলাকার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায়। ভোর সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার ভাসারচর গ্রাম থেকে সুমনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হেদায়েত উল ভূঁইয়া বলেন, ‘মেয়েটি বাদী হয়ে মামলা দায়েরের পর আমরা আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠিয়েছি।’