খুবিতে আইসিটি আঞ্চলিক বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর একাডেমিক ভবন অডিটরিয়ামে আজ শনিবার বিকেলে জাতীয় তথ্যপ্রযুক্তি বিতর্ক উৎসবের আঞ্চলিক পর্যায়ের বিতর্ক প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।
খুলনা, যশোর, সাতক্ষীরা ও বরগুনা জেলা নিয়ে গঠিত আঞ্চলিক পর্যায়ের এ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় চূড়ান্ত পর্বে আটটি দল অংশ নেয়। এর মধ্যে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) দল চ্যাম্পিয়ন এবং খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (খুবি) দল রানারআপ হয়।
পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘আমাদের সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে ও দৃষ্টিভঙ্গি বদলানোর জন্য বেশি করে বিতর্কচর্চার প্রয়োজন। যুক্তিনির্ভর সমাজ গঠনের মাধ্যমে একটি সুন্দর দেশ গড়ে তোলা সম্ভব। সমাজে যত বেশি বিতর্ক হবে, তত যুক্তি প্রাধান্য পাবে। ফলে তত সংঘাত, সংঘর্ষ, গায়ের জোর প্রয়োগ কমে যাবে। তিনি বলেন, বিতর্কই একটি সমাজকে বুদ্ধিবৃত্তিক স্তরে নিয়ে যায়। বিতর্কের জন্য যুক্তির অনুসন্ধান করতে হয়। আর এর মাধ্যমে জ্ঞানের নিরন্তর সাধনায় মগ্ন থাকে বিতর্কচর্চায় যুক্ত যারা।
উপাচার্য বলেন, যারা বিতর্ক প্রতিযোগিতা করে তাদের মধ্যে একধরনের সাহস তৈরি হয়। বিতর্ক নানা যুক্তি ও উদ্ভাবনের পথ তৈরি করে। এর ফলে একটি সমাজ, একটি দেশ এমনকি মানবজাতি উপকৃত হয়।
শিক্ষার্থীদের বেশি করে বিতর্ক সংগঠন ও বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের পরামর্শ দিয়ে অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান বলেন, শিক্ষাজীবনে এর সুফল অনেক। আমাদের দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বেশি করে বিতর্ক হওয়া প্রয়োজন। বিতর্ক বেশি হলে আমাদের জাতীয় অনেক সমস্যার সমাধান সম্ভব।
উপাচার্য খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিতর্ক সংগঠন নৈয়ায়িককে বেশি করে বিতর্ক প্রতিযোগিতা আয়োজনের জন্য নির্দেশনা দেন এবং একটি ইনোভেশন ক্লাব গঠন ও শিক্ষার্থীদের ইনোভেটিভ আইডিয়া সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে বলে উল্লেখ করেন। পরে তিনি বিজয়ী দল ও রানার আপ দলের অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে পুরস্কারের ট্রফি তুলে দেন।
প্রতিযোগিতায় শ্রেষ্ঠ বিতার্কিক হন কুয়েটের ছাত্রী রিভু আলম। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ডিবেট ফেডারেশনের (বিডিএফ) খুলনা অঞ্চলের আহ্বায়ক এন এ এম সারোয়ার আক্তারের সভাপতিত্বে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির ডিন অধ্যাপক ড. গাজী আবদুল্লাহেল বাকী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. মনিরুজ্জামান।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন বিডিএফের সহসভাপতি কামরুল হাসান সোহাগ, ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ারের প্রতিনিধি সিনথিয়া হাই। স্বাগত বক্তব্য দেন নৈয়ায়িকের সভাপতি বিএম আফসান আক্তার অ্যানি।
অনুষ্ঠানে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রবিষয়ক পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) মোহা. সাদিকুল আমিনসহ বিভিন্ন জেলার বিতার্কিক ও সংগঠনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।