বিমানবন্দরের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে

সম্প্রতি বিশ্বে কতিপয় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জাতীয় নিরাপত্তার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বিমান যোগাযোগ বজায় রাখার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও সংবেদনশীল হয়ে উঠেছে। এ প্রতিক্রিয়ায় বিশ্বজুড়ে বেসামরিক বিমান চলাচল তথা বিমানবন্দরগুলোর সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের বিমানবন্দরগুলোর নিরাপত্তাও জোরদার করা হয়েছে বলে সংসদকে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান চলাচলমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন।
আজ রোববার দশম জাতীয় সংসদের নবম অধিবেশনে ঢাকা-১৫ আসনের সংসদ সদস্য কামাল আহমেদ মজুদারের লিখিত প্রশ্নের জবাবে বিমানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এ ছাড়া বাংলাদেশেও নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার জন্য অতিরিক্ত বেশকিছু পদক্ষেপ গ্রহণ ও চলমান রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন মন্ত্রী।
বিমানবন্দরের নিরাপত্তা কাজে বিগত সময়ে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে রাশেদ খান মেনন আরো বলেন, বিমানবন্দরের নিরাপত্তার বিষয়ে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ও সহযোগিতা রয়েছে।
এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভার সিদ্ধান্তগুলো তুলে ধরে মন্ত্রী আরো বলেন, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার জন্য বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) জনবলের ঘাটতি পূরণের জন্য অতিরিক্ত ২৫০ জন নিরাপত্তা সদস্য জরুরিভিত্তিতে সাময়িকভাবে যোগ করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ১০০ জন সদস্য বেবিচকে সংযুক্তির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৪০ জন বিমান বাহিনী, ৪০ জন পুলিশ বাহিনী এবং ২০ জন আনসার বাহিনী থেকে যোগ হয়েছে।
মন্ত্রী বিমানবন্দরের নিরাপত্তায় সরকারের বিভিন্ন চলমান পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে বলেন, বাংলাদেশ বিমানবন্দরগুলোর সেফটি ও সিকিউরিটি ব্যবস্থার উন্নয়নকল্পে জাইকার অনুদান অর্থায়নে কাজটি বাস্তবায়নে চলমান রয়েছে। এ প্রকল্পের আওতায় হযরত শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জন্য এক সেট রাডার, যশোর ও সৈয়দপুর বিমানবন্দরের জন্য দুই সেট ড্রপলার ভেরি হাই ফ্রিকোয়েন্সি অমনিডিরেকশনাল রেডিও রেঞ্জ (ডিভিওআর) এবং ডিসট্যান্স মিজারিং ইকুইপমেন্ট (ডিএমই) ক্রয় ও স্থাপন করা হবে।
এ ছাড়া হযরত শাহজালাল (র.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জন্য দুটি ফায়ার ভেহিকেল, সাতটি হোল্ড ব্যাগেজ স্ক্যানিং মেশিন, দুটি কেবিন লাগেজ স্কানিং মেশিন ও ১৯টি এক্সেস কন্ট্রোল সিস্টেম ক্রয় ও স্থাপন করা হবে। এ প্রকল্পটি ২০১৭ সালের জুন নাগাদ সম্পন্ন করা হবে বলে সংসদে জানান মন্ত্রী।