মাটিলায় হতাহতের ঘটনায় বিজিবির মামলা
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2016/02/01/photo-1454324365.jpg)
ঝিনাইদহের সীমান্ত গ্রাম মাটিলায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও গ্রামবাসীর সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনায় মহেশপুর থানায় একটি মামলা হয়েছে। এতে ১২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় ৩০ জনকে আসামি করেছে বিজিবি।
গতকাল রোববার রাত ১০টার দিকে মামলাটি করেন মহেশপুরের জুলুলি বিজিবি ক্যাম্পের কমান্ডার সুবেদার শিশির কুমার। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মহেশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাহিদুল ইসলাম শাহীন।
গত শনিবার রাত সাড়ে ৬টার দিকে মহেশপুর উপজেলার ভারত সংলগ্ন মাটিলা গ্রামে বিজিবির সঙ্গে গ্রামবাসীর ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় বিজিবি গুলি চালালে ঘটনাস্থলে নিহত হন চা-বিক্রেতা রফিকুল ইসলাম (৩০)। গুলিবিদ্ধ হয়ে মারাত্মক আহত হন বাবুল, ফিরোজ, আতিকুলসহ চারজন। আহতদের মধ্যে ফিরোজকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তার অবস্থা এখনো গুরুতর।
জানা গেছে, বিজিবির করা এ মামলায় নিহত রফিকুলের দুই ভাই তরিকুল ও রিপন, সংশ্লিষ্ট যাদবপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মাটিলা গ্রামের বাসিন্দা মহিদুল ইসলাম এবং আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন বাবুল ও ফিরোজসহ ১২ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এজাহারে আসামিদের বিরুদ্ধে ভারত থেকে পাচার হয়ে আসা গরু কেড়ে নেওয়া, বিজিবি সদস্যদের ওপর হামলাসহ সরকারি কাজে বাধা দানের অভিযোগ করেছেন বাদী।
স্থানীয় লোকজন জানায়, গতকাল রোববার রাতে রফিকুলকে নিজ গ্রামের কবরস্থানে দাফন করা হয়। এর আগে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে পুলিশ হেফাজতে লাশের ময়নাতদন্ত করা হয় । একই দিন বিকেলে স্থানীয় বিজিবি ক্যাম্পে সংশ্লিষ্ট যাদবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান, ইউপি সদস্য মহিদুল ইসলামসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে বৈঠক করেন যশোর ২৬ বিজিবির পরিচারক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. জাহাঙ্গীর হোসেন। বৈঠকে হতাহতের পরিবারের সদস্যদের আর্থিক সহযোগিতা দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়। কিন্ত রাতে মামলা করার ঘটনায় আজ সকাল থেকে এলাকায় নতুন করে উদ্বেগ উৎকণ্ঠা ছড়িয়ে পড়ে। মামলার আসামিরা গ্রাম ছেড়ে আত্মগোপন করেছেন।