আ. লীগ নেতাকে তুলে নিয়ে অবরুদ্ধ
কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতির ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে তাঁকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখেন নেতাকর্মীরা।
আজ শনিবার সকাল ৮টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের তুলাগাঁও গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
সুলতানপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি করিম সরকার বলেন, ‘ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী নির্বাচনে সুলতানপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের প্রতিটি ওয়ার্ডের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের মতামত ও ভোট নেওয়া হয়। এতে সবাই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শাহজাহান সরকারকে ভোট দেন। পরে আমরা একক প্রার্থী ঘোষণা করে উপজেলা কমিটির মাধ্যমে কেন্দ্রে পাঠাই। কিন্তু বৃহস্পতিবার বিকেলে হঠাৎ জানতে পারি তৃণমূলের সিদ্ধান্তকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে মনগড়াভাবে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সফিকুল ইসলামকে চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়ন দেয় আওয়ামী লীগ।’
করিম সরকার জানান, এই ঘটনায় তৃণমূলের নেতাকর্মীরা মনে করেন, শাহজাহান সরকার কারো প্ররোচনায় সফিকের কাছে তাঁর মনোনয়ন বিক্রি করে দিয়েছেন। এই সন্দেহে নেতাকর্মীরা আজ সকাল ৮টা থেকে তুলাগাঁও গ্রামে শাহজাহান সরকারের বাড়ি ঘেরাও করে ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিংযোগ করেন। একপর্যায়ে তারা শাহজাহান সরকারকে ঘর থেকে তুলে নিয়ে পাশের তুলাগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়ের একটি কক্ষে তালাবদ্ধ করে রেখে বিক্ষোভ শুরু করেন। এ সময় উত্তেজিত জনতার তোপের মুখে মাথায় আঘাত পান করিম সরকার।
এ ব্যাপারে বক্তব্য জানতে শাহজাহান সরকার ও দেবীদ্বার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ জয়নুল আবেদীনের ব্যক্তিগত ফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও সংযোগ পাওয়া যায়নি।
কুমিল্লা উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ও সুলতানপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতা মামুনুর রশিদ সরকার জানান, ঘটনার সময় স্থানীয় সংসদ সদস্য রাজী মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম মুন্সি একজনের মুঠোফোনে কল দিয়ে উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে বলেন, মনোনয়ন বিক্রির বিষয়টি মিথ্যা। কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশে শাহজাহান সরকারের পরিবর্তে সফিককে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। এরপর পরিস্থিতি শান্ত হয়। উত্তেজিত নেতাকর্মীরা মুক্তি দেন শাহজাহান সরকারকে।
দেবীদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, ‘ঘটনা শুনেছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। বিস্তারিত তাৎক্ষণিকভাবে বলা যাচ্ছে না।’