মৌলভীবাজারে বিএনপি-জামায়াতের ১৯ নেতাকর্মী জামিনে মুক্ত
বিএনপির ১৬ জন ও জামায়াতের তিনজন নেতাকর্মী জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। আজ সোমবার সন্ধ্যায় মৌলভীবাজার জেলা কারাগার থেকে তাঁরা মুক্তি পান।
মুক্তি পাওয়া বিএনপির নেতাকর্মীদের ফুলের মালা দিয়ে স্বাগত জানান মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি এম নাসের রহমান, জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি মো. ইউসুফ আলী, উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবদুর রহিম আনছার, জামায়াতের জেলা সেক্রেটারি এম শাহেদ আলী, সদর পৌর বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট আনোয়ার আক্তার শিউলী, শ্রীমঙ্গল উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মো. ইদ্রিছ আলী, পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুর রহিম রিপন, জামায়াতের পৌর আমির ইয়ামীর আলী, আলাউদ্দিন শাহ, মাওলানা হারুনুর রশিদ তালুকদারসহ বিএনপি-জামায়াতের বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী।
জামিনে মুক্তি পাওয়া জেলা বিএনপি ও তাঁর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে আছেন মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির প্রথম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম এ মুকিত, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. ফখরুল ইসলাম, জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি হেলু মিয়া, জেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান মজনু, পৌর বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি মাহমুদুর রহমান, ক্রীড়া সম্পাদক ছাদিকুর রহমান ওয়েছ, যুবদল নেতা শাহিনুর রহমান, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আলী সছদর খান বাবর, ছাত্রদল নেতা টিপু আলম, তানভীর আলী, লোকমান মিয়া, শাহিন মিয়া, আনকার মিয়া, সুমন আহমদ, আনোয়ার হোসেন ও মনসুর আহমদ।
একই মামলায় জামিন পেয়েছেন জেলা জামায়াতের আমির আবদুল মান্নান, শাহাব উদ্দিন ও ফয়ছল আহমদ।
এর আগে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি সোমবার দুপুরে মৌলভীবাজার জেলা অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে আসামিরা স্বেচ্ছায় হাজিরা দিয়ে জামিনের আবেদন করেন। বিচারক বাহাউদ্দিন কাজী তাদের জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মৌলভীবাজার মডেল থানা পুলিশ সূত্র জানায়, ২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারি কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিএনপির নেতৃত্বাধীন মৌলভীবাজার জেলা ২০ দলীয় ঐক্যজোট শহরে কালো পতাকা মিছিল বের করে। একপর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় ওই দিন রাতে মৌলভীবাজার মডেল থানার এসআই নূর মিয়া বাদী হয়ে ১৩০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পরে ওই মামলায় এসআই মিজান গত বছরের ৩০ জুলাই মৌলভীবাজার আদালতে ১১৮ জনের নামে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ওই অভিযোগপত্রের ৫১ নম্বর আসামি হিসেবে মৃত ছাত্রদল কর্মী বাবলু উরফে মিলাদ ও ৮১ নম্বর আসামি হিসেবে শিবির নেতা অ্যাডভোকেট কবির আহমেদকে আসামি করা হয়। এ মামলায় বিএনপি ও জামায়াতের মোট ৯৮ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ৩১ ডিসেম্বর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম বাহাউদ্দিন কাজী।