বিমানবন্দরে নিরাপত্তা দেবে এভিয়েশন সিকিউরিটি ফোর্স

বিমানবন্দরের নিরাপত্তায় সন্তোষ প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ এভিয়েশনের তদন্তদল। তবে, পূর্ণ সন্তোষ অর্জনে, পুরো বিমানবন্দরকে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলার জন্য গঠিত হচ্ছে এভিয়েশন সিকিউরিটি ফোর্স।
আজ মঙ্গলবার নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন সিভিল এভিয়েশন অথরিটি অব বাংলাদেশের (সিএএবি) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম সানাউল হক। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা ও আনুষঙ্গিক অন্যান্য কাজ শেষে চলতি বছরেই নিউইয়র্ক রুটে বিমান চলাচলের আশা করেছেন তিনি।
মূলত মিসরের শার্ম আল শেখ বিমানবন্দরে সন্ত্রাসী হামলার পর পরই, সারা বিশ্বেই বিমানবন্দরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। বিশ্বের ১৮টি দেশের যে ৩৮টি ঝুঁকিপূণৃ বিমানবন্দরের নাম প্রকাশ করা হয়, সেখানে বাংলাদেশের বিমানবন্দরের নামও আছে। এ নিয়ে যুক্তরাজ্য উদ্বেগ প্রকাশের পর পরই, নিরাপত্তা কার্যক্রম দেখতে আসে সেই দেশের তদন্তদল। বাংলাদেশ সরকার বিষয়টি গুরুত্বের সাথে নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ায়, যুক্তরাজ্যের সন্তোষ আদায় করতে পেরেছে বলে জানিয়েছেন সিভিল এভিয়েশনের চেয়ারম্যান।
এম সানাউল হক বলেন, ‘সরকারের সমর্থন নিয়ে আমরা বিমানবন্দরের নিরাপত্তাকে যেকোনো মূল্যে, এটা আমাদের প্রেস্টিজের ব্যাপার, সেভাবে আমরা ঝাঁপিয়ে পড়েছি। উনারা (ব্রিটিশ এভিয়েশনের তদন্তদল) আমাদের বলেছে, বাংলাদেশের মতো এত তাড়াতাড়ি, এত দ্রুত, এত কার্যকরী পদক্ষেপ এবং উন্নতি অন্য কোনো দেশ করতে পারেনি। আমাদের কিছু কিছু ব্যবস্থা আছে যেগুলো অন্যান্য দেশে নেই। ব্যবস্থাগুলো খুবই ভালো। উনারা তা অন্যান্য দেশের জন্য রেফারেন্স হিসেবে নিয়ে গেছেন।’
বিমানবন্দরের নিরাপত্তায় এভিয়েশন সিকিউরিটি ফোর্স পরিচালিত হবে সিভিল এভিয়েশনের অধীনে। এমনটি জানিয়ে সিভিল এভিয়েশনের চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের পথে বিমান ওড়ার সব প্রক্রিয়া শেষের পথে।
এম সানাউল হক বলেন, ‘জনবলের অনুমোদন দিয়ে দিয়েছেন। এভিয়েশন সিকিউরিটি ফোর্সের অনুমোদন দিয়ে দিয়েছেন।’ তিনি আরো বলেন, আমাদের পুরো ব্যবস্থাটা উনারা (যুক্তরাষ্ট্র) দেখবে। বিশেষ করে বিমানকে উনারা দেখবে। এখন চলছে একটা প্রি অডিটের মতো। তাদের সুপারিশ পেলে সে অনুযায়ী আমরা প্রস্তুতি নিতে থাকব।’
এ ছাড়া দেশের আঞ্চলিক বিমানবন্দরগুলোতে সমান নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।