চলে গেলেন রংপুরের দগ্ধ তহমিনা
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2016/02/29/photo-1456722880.jpg)
পারিবারিক কলহের জের ধরে রংপুরের পীরগাছা উপজেলায় কেরোসিনের আগুনে দগ্ধ দুই সন্তানের জননী তহমিনা বেগম মারা গেছেন। চার দিন রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর আজ সোমবার ভোরে মারা যান তিনি।
গত বৃহস্পতিবার রাতে পীরগাছা উপজেলার কান্দি ইউনিয়নের দাদন গ্রামে আগুনে দগ্ধ হন তহমিনা।
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের প্রধান ডা. মারুফুল ইসলাম জানিয়েছেন, আজ ভোরে তহমিনার অবস্থার অবনতি হলে মারা যান তিনি।
তহমিনার মা জীবন্নেছা বেগম জানান, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে পারিবারিক কিছু বিষয় নিয়ে মা আলেমা বেগমের সঙ্গে ছেলে মান্নান, অর্থাৎ তহমিনার স্বামীর বাকবিতণ্ডা হয়। এ সময় স্বামীর পক্ষ নিয়ে তহমিনা কথা বলতে গেলে আলেমা বেগম ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। একপর্যায়ে তহমিনার গায়ে কুপি থেকে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন শাশুড়ি।
এতে তহমিনার শরীরের প্রায় ৪০ শতাংশ পুড়ে যায়। তহমিনার চিৎকারে প্রতিবেশীরা তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে পীরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করেন। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ ভোর ৫টার দিকে তহমিনা মারা যান।
১২ বছর আগে একই উপজেলার পূর্ব চণ্ডীপুর গ্রামের তহমিনার সঙ্গে দাদন গ্রামের মান্নানের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়ি বিভিন্নভাবে তহমিনার ওপর শারীরিক নির্যাতন চালিয়ে আসছিল বলে অভিযোগ করেন তাঁর মা। তহমিনা ও মান্নান দম্পতির মুন্নী (১০) ও মুক্তা (৮) নামে দুটি কন্যাসন্তান রয়েছে।
এদিকে ঘটনার পরদিন শুক্রবার তহমিনার স্বামী আবদুল মান্নানকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে আটক করে পীরগাছা থানা পুলিশ।
তহমিনার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে নেওয়া হয়েছে।