চিকিৎসকের দাঁত ভাঙলেন আ. লীগ নেতা
খুলনার তেরখাদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক আব্দুল্লাহেল মামুনকে ঘুষি মেরে তাঁর তিনটি দাঁত ভেঙে ফেলা হয়েছে।
তেরখাদা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ওহেদুজ্জামান এই ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) খুলনা শাখা অভিযোগ করেছে।
হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে খুলনা বিএমএ ওহেদুজ্জামানকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে।
খুলনা বিএমএর সভাপতি ডা. বাহারুল আলম আজ মঙ্গলবার দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, গতকাল সোমবার রাত ৮টার দিকে চেয়ারম্যান ওহেদুজ্জামান লোকজন নিয়ে তেরখাদা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান। তিনি জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক আব্দুল্লাকে তাঁর বাসায় গিয়ে নিজের স্ত্রীর চিকিৎসা করার নির্দেশ দেন। কিন্তু জরুরি বিভাগ ছেড়ে তিনি বাসায় যেতে রাজি না হলে চেয়ারম্যান ও তাঁর সহযোগীরা হাসপাতালে চিকিৎসক আব্দুল্লাকে মারধর করেন। এতে চিকিৎসকের তিনটি দাঁত ভেঙে যায়। এই ঘটনার পর ডা. আব্দুল্লাহেল মামুন বাদী হয়ে চেয়ারম্যান ও তাঁর সহযোগীদের নামে মামলা করেছেন।
দ্রুত ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের নেতা ওহেদুজ্জামানের গ্রেপ্তারের দাবি করা হয়। অন্যথায় বুধবার বিএমএ নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করবে বলে জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বিএমএ খুলনার সাধারণ সম্পাদক ডা. মেহেদি নেওয়াজ, ডা. গাজী মিজানুর রহমান ও ডা. শওকত লস্কর উপস্থিত ছিলেন।
খেলা দেখায় হামলা : তেরখাদার আওয়ামী লীগের নেতা ওহেদুজ্জামান দাবি করেন, চিকিৎসক আব্দুল্লাহেল মামুনকে তিনি মারধর করেন। তাঁর সহযোগীরা মারধর করেছেন।
কারণ জানতে চাইলে ওহেদুজ্জামান জানান, সোমবার রাত ৮টার দিকে তিনি জরুরি বিভাগে গিয়ে চিকিৎসক আব্দুল্লাকে তাঁর অসুস্থ স্ত্রীর চিকিৎসা সেবার জন্য বাড়িতে যাওয়ার অনুরোধ করেন। কিন্তু চিকিৎসক ওই সময় হাসপাতালে পাশেই টেলিভিশনে ক্রিকেট খেলা দেখছিলেন। তাঁকে খেলা দেখা ছেড়ে বাসায় যেতে বললেও তিনি রাজি হননি। এ কারণে তাঁর সঙ্গের লোকজন উত্তেজিত হয়ে একটু মারধর করেছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে খুলনা বিএমএর সভাপতি ডা. বাহারুল আলম বলেন, ওহেদুজ্জামানের কথা সম্পূর্ণ মিথ্যা। কারণ তিনি যে সময়ের কথা বলছেন তখন তেরখাদা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এলাকায় বিদ্যুতের সংযোগই ছিল না। তাই টেলিভিশন দেখার প্রশ্নই আসে না।

মুহাম্মদ আবু তৈয়ব, খুলনা