অস্ত্রের দাপট দেখিয়ে চুক্তি বাস্তবায়ন সম্ভব নয়
পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর অভিযোগ করেছেন, একটি গোষ্ঠী পাহাড়ের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বন্ধ করে দিয়ে শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নের চেষ্টা চালাচ্ছে। কিন্তু অস্ত্রের দাপট দেখিয়ে তা কোনোদিন সম্ভব না।
আজ শুক্রবার বিকেলে বান্দরবানের রুমায় উপজেলা কমপ্লেক্স ভবনসহ প্রায় সাত কোটি টাকা ব্যয়ে পাঁচটি উন্নয়ন কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বীর বাহাদুর এ কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, পার্বত্য শান্তিচুক্তি সম্পাদনের পর থেকে পার্বত্যাঞ্চলে উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে। আওয়ামী লীগ সরকার পার্বত্যবাসীর উন্নয়নে অত্যন্ত আন্তরিক। যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়নের মাধ্যমে পাহাড়ের মানুষের সার্বিক উন্নয়ন তরান্বিত করতে চায় সরকার।
বীর বাহাদুর আরো বলেন, শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নে আন্তরিক আওয়ামী লীগ সরকার। কিন্তু চুক্তি বাস্তবায়নের পাহাড়ের রাজনৈতিক-সামাজিক সংগঠনগুলোর সহযোগিতা প্রয়োজন। অথচ চুক্তি বাস্তবায়নে সরকারকে সহযোগিতা করা হচ্ছে না। উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বন্ধ করে দিয়ে চুক্তি বাস্তবায়নের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে একটি গোষ্ঠী। কিন্তু অস্ত্রের দাপট দেখিয়ে, উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করে চুক্তির বাস্তবায়ন কোনোদিনও সম্ভব নয়। চুক্তি বাস্তবায়নে পাহাড়ের মানুষের সদিচ্ছা লাগবে। প্রয়োজন বন্ধুসুলভ আচরণ।
পাঁচটি উন্নয়ন প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ (এলজিইডি) অর্থায়নে পাঁচ কোটি ১৭ লাখ টাকা ব্যয়ে রুমা উপজেলা পরিষদের নতুন ভবন নির্মাণ, ৯০ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যয়ে বড়ুয়াপাড়া আরসিসি সেতু নির্মাণ, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে রুমায় ‘দ্য বম অ্যাসোসিয়েশনের’ ভবন, ১৬ লাখ টাকা ব্যয়ে মুরুংগ বাজার জামে মসজিদ নির্মাণ এবং ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে রুমা সদর রেস্টহাউস ভবন নির্মাণ।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে রুমা সেনা জোন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম আরিকুল আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জসিম উদ্দিন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হারুনুর রশিদ, বান্দরবান উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল আজিজ, এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মনিরুজ্জামান, রুমা উপজেলা চেয়ারম্যান অংথোয়াই চিং মারমা, রুমা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. চালেহ তস্তুরী, পার্বত্যবিষয়ক প্রতিমন্ত্রীর এপিএস সাদেক হোসেন চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।