মাগুরায় আ.লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, পুলিশের গুলি

মাগুরা সদর উপজেলার একটি গ্রামে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। আজ বুধবার সকালে সংঘর্ষ চলাকালে অন্তত ২৫টি বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ১০টি ফাঁকা গুলি ছোড়ে পুলিশ।
মাগুরার সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) সুদর্শন রায় জানান, সদর উপজেলার আমুড়িয়া গ্রামে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আজ সকালে আওয়ামী লীগের একপক্ষ অপর পক্ষের বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে কিছু বাড়িঘর ভাঙচুর করেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশকে শটগানের ১০টি ফাঁকা গুলি করতে হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলেও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব-২ মো. সাইফুজ্জামান শিখরের সমর্থক স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা বদিয়ার রহমান জানান, সকাল ৮টার দিকে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বীরেন শিকদারের সমর্থক ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা হাতেম মোল্লা, সোহেল ও জামানের নেতৃত্বে একদল নেতা-কর্মী সাইফুজ্জামান শিখরের সমর্থকদের বাড়িঘরে হামলা চালায়। হঠাৎ এ হামলায় জহুর মোল্লা, আছাদ মোল্লা, টিটু মাস্টার, ওলিয়ার মোল্লা, মশিয়ার মেম্বার, আফজাল, শাহাদত বিশ্বাস, মোফাজ্জেল মোল্লা, হাফিস বিশ্বাস ও রোস্তম মোল্লার বাড়িসহ ২৫টি বাড়িঘরে ভাঙচুর চালিয়ে লুটপাট করা হয়।
এ ব্যাপারে আরেক আওয়ামী লীগ নেতা হাতেম মোল্লা জানান, গত মাসে তাঁর বাড়িতে এবং যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বীরেন শিকদারের সমর্থকদের বাড়িতে হামলা করেছিলেন সাইফুজ্জামান শিখরের সমর্থকরা। তারই জের ধরে আজ সামান্য কিছু ভাঙচুর করা হয়েছে। তবে ২৫টি নয় বরং চার-পাঁচটি বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।