সুন্দরবন রক্ষার্থে ফুলবাড়ীর মতো কঠোর কর্মসূচি নেওয়া হবে : আনু মুহাম্মদ

তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, যেকোনো মূল্যেই হোক সুন্দরবনকে রক্ষা করতে হবে প্রয়োজনে আগামীতে ফুলবাড়ীর মতো আরো কঠিন আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
আজ শনিবার সন্ধ্যায় খুলনার শহীদ হাদিস পার্কে জনযাত্রার সমাবেশে আনু মুহাম্মদ এ কথা বলেন। সুন্দরবনের জন্য হুমকি রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প বাতিলের দাবিতে তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির আহ্বানে জনযাত্রা আজ বিকেলে এই পার্কে এসে পৌঁছায়।
অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘বিশ্বের বৃহত্তম শ্বাসমূলীয় উদ্ভিদের অরণ্য সুন্দরবনের অস্তিত্ব আজ হুমকির সম্মুখীন। সুন্দরবনের উপকণ্ঠে কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মিত হলে অচিরেই পানি, বায়ু ও মাটি দুষণের কারণে এই অরণ্যের স্পর্শকাতর প্রাণীকূল উজাড় হয়ে যাবে। যে আর্থিক হিসাব-নিকাশের কথা বলে সুন্দরবনকে এভাবে ধ্বংস করার বন্দোবস্ত করা হচ্ছে, তাতেও দেখা যাচ্ছে লাভের ষোলআনা ভারতের পকেটেই যাবে। বাংলাদেশ কেবল বহুগুণ বেশি দামে বিদ্যুৎ কিনবে না, তার জ্বালানি নিরাপত্তাও জিম্মি হয়ে যাবে ভারতের হাতে।’ তিনি বলেন, ‘নগদ টাকার ক্ষতি একদিন পুষিয়ে যাবে, কিন্তু সুন্দরবন তার বিরল প্রাণী আর উদ্ভিদকূলসমেত ধ্বংস হয়ে গেলে তা আর ফেরত পাওয়া যাবে না।’ তাই এই আন্দোলনে সবাইকে শরিক হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
ডা. মনোজ দাসের সভাপতিত্বে এই সমাবেশে আরো বক্তব্য দেন সংগঠনের আহ্বায়ক প্রকৌশলী শেখ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ, ওয়ার্কাস পার্টি নেতা সাইফুল ইসলাম, সিপিবি নেতা সরদার রুহিন হোসেন প্রিন্স, বাসদ নেতা খালেকুজ্জামান রতন ও জোনায়েদ সাকি।
সুন্দরবন রক্ষার্থে গত ১০ মার্চ ঢাকা থেকে এই জনযাত্রাটি বাগেরহাটের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছিল। আজ রাতে খুলনা অবস্থানের পর আগামীকাল রোববার সকালে বাগেরহাটের উদ্দেশে রওনা দেবে। বাগেরহাটে গিয়ে এই ‘জনযাত্রা’ শেষ হবে।