চলন্ত বাসে গণধর্ষণ, চালকের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি
টাঙ্গাইলের মধুপুরে চলন্ত বাসে পোশাককর্মীকে গণধর্ষণের কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন বাসচালক হাবিবুর রহমান নয়ন।
তিনদিনের রিমান্ড শেষে বাসচালককে আজ মঙ্গলবার আদালতে হাজির করলে তিনি ধর্ষণের সম্পৃক্ততায় তাঁর দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন।
মামলার তদন্ত কর্মকতা ধনবাড়ী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) খান মোহাম্মদ হাসান মোস্তফা জানান, টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম মো. হামিদুল ইসলাম বাসচালক হাবিবুর রহমান নয়নের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করেন। পরে বিচারক তাঁকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে গত শনিবার বাসচালকের সহকারী আবদুল খালেক ভুট্টো ও সোমবার বাসের সুপারভাইজার রেজাউল করিম জুয়েল স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এ নিয়ে এ মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া তিন আসামিই পোশাককর্মী গণধর্ষণের সঙ্গে জড়িত থাকার দায় স্বীকার করে নিয়েছেন।
গত বৃহস্পতিবার গাজীপুর থেকে খালার বাড়ি টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী বেড়াতে যান ওই পোশাককর্মী। পরে শুক্রবার সকালে গাজীপুরের উদ্দেশে যাওয়ার জন্য ধনবাড়ী বাসস্ট্যান্ড থেকে টিকেট কেটে বিনিময় পরিবহনের ১৯৫৪ সিরিয়ালের একটি বাসে ওঠেন। এ সময় বাসটির চালক ও চার কর্মী ওই নারীকে একাই নিয়ে রওনা হন। পরে বাসটি গন্তব্যে না গিয়ে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ সড়কের দিকে যেতে থাকে। এতে পোশাককর্মী জিজ্ঞেস করলে বাসের কর্মীরা তাঁকে মারধর করেন এবং সব জানালা-গেট বন্ধ করে দিয়ে তাঁর হাত-পা ও মুখ বেঁধে ফেলেন। পরে একে একে বাসের চালক ও অন্য তিনজন তাঁকে ধর্ষণ করে বাস থেকে নামিয়ে দিয়ে চলে যান। ধর্ষণের শিকার ওই পোশাককর্মীকে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
পরে এ ঘটনায় পোশাককর্মীর স্বামী বাদী হয়ে অভিযুক্ত চালক, সুপারভাইজার ও সহকারীসহ নয়জনকে আসামি করে ধনবাড়ী থানায় একটি মামলা করেন।