৫ দিনের রিমান্ডে শফিক রেহমান
বিশিষ্ট সাংবাদিক ও দৈনিক ‘যায় যায় দিন’ পত্রিকার সাবেক সম্পাদক শফিক রেহমানের পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
আজ শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের (সিএমএম) আদালতে শফিক রেহমানকে হাজির করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবির) সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) হাসান আরাফাত। তিনি সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন।
ওই আবেদন নাকচ করে শফিক রেহমানের জামিন চান আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া। রিমান্ড ও জামিনের আবেদনের ওপর শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম মাজহারুল ইসলাম পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে আজ সকালে রাজধানীর ইস্কাটনের নিজ বাসা থেকে শফিক রেহমানকে গ্রেপ্তার করে ডিবি। তাঁকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে ডিবির গণমাধ্যম শাখার উপকমিশনার (ডিসি) মারুফ আহমেদ সরদার সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অপহরণ চেষ্টার অভিযোগে ২০১৫ সালে পল্টন থানা করা একটি মামলায় শফিক রেহমানকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ সকালে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়। দুপুরে তাঁকে আদালতে হাজির করা হয়।
শফিক রেহমানকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে তাঁর স্ত্রী তালেয়া রেহমান বলেন, একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল থেকে সাক্ষাৎকার নিতে এসেছেন বলে বাসায় ঢোকেন কয়েকজন ব্যক্তি। কিছুক্ষণ পরই এই ব্যক্তিরা ধরে নিয়ে যান শফিককে।
শফিক রেহমান সাক্ষাৎকার দিচ্ছেন ভেবে বাসার ভেতরেই ছিলেন তালেয়া রেহমান। পরে বাসার বাবুর্চি তাঁকে জানান, শফিক রেহমানকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তালেয়া রেহমান জানান, ধরে নিয়ে যাওয়ার সময় শফিক রেহমান বাধা দিয়েছেন বলে বাসার কর্মীদের কাছ থেকে জানতে পারেন তিনি। এ সময় তাঁকে মারধর করে চুপ থাকতে বলা হয় বলেও শুনেছেন তিনি। বাড়ির দারোয়ান তালেয়াকে জানিয়েছেন, যারা ধরে নিয়ে গেছে তাদের একজনের পোশাকে ডিবি শব্দটি লেখা ছিল।
এ বিষয়ে তালেয়া রেহমান বলেন, “শফিক তখন নিচে নামছে। তখনই ওরা বাসার বাবুর্চিকে বলেছে যে আমরা ডিবি অফিস থেকে এসেছি। ‘আর যখন নিয়ে যাচ্ছে তখন আমার গার্ড দেখেছে যে ওদের একজনের গায়ে ডিবি লেখা আছে।’”