নির্বাচনী সহিংসতায় গুলিবিদ্ধ আ. লীগকর্মীর মৃত্যু
মাদারীপুর সদর উপজেলার মস্তফাপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতায় গুলিবিদ্ধ জুয়েল মল্লিক (৩০) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। আজ শনিবার বিকেলে ঢাকার নর্দান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি মারা যান।
পুলিশ জানায়, গতকাল শুক্রবার মস্তফাপুর ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের মনোনীত বিজয়ী চেয়ারম্যান কুদ্দুস মল্লিক ও দলটির বিদ্রোহী চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী সোহরাব খানের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের সময় জুয়েল মল্লিক গুলিবিদ্ধ হন। এ সময় সাতজন গুলিবিদ্ধসহ কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়।
জুয়েল মস্তফাপুর ইউনিয়নের সোনা মল্লিকের ছেলে।
ইউপি চেয়ারম্যান কুদ্দুস মল্লিক বলেন, ‘আমার কর্মী জুয়েল মল্লিক আজ গুলিবিদ্ধ অবস্থায় নর্দান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছেন।’
নিহতের সংবাদ এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে বিকেল ৫টার দিকে দুই পক্ষের সমর্থকরা আবারও মুখোমুখি অবস্থান নেয়। সর্বশেষ দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া, বোমাবাজির খবর পাওয়া গেছে।
মাদারীপুরের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি-সার্কেল) মনিরুজ্জামান ফকির বলেন, জুয়েলের মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে আজ বিকেলে আবার সংঘর্ষে জড়িয়েছে দুই পক্ষ।
গতকাল শুক্রবার মস্তফাপুর ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের মনোনীত বিজয়ী চেয়ারম্যান কুদ্দুস মল্লিক ও দলটির বিদ্রোহী চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী সোহরাব খানের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের সময় অনেকেই গুলিবিদ্ধ হন। ছবি : এনটিভি