সংবাদপত্র ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া পূর্ণ স্বাধীনতা ভোগ করছে : তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, বর্তমান সরকারের সময়ে সংবাদপত্র ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া পূর্ণ স্বাধীনতা ভোগ করছে। আজ মঙ্গলবার সংসদে জাতীয় পার্টির সদস্য মোহাম্মদ ইলিয়াছের এক প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান তিনি।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সব মিডিয়া বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশ করবে- সরকার সবময় এমনটাই আশা করে থাকে। তবে, অবাধ স্বাধীনতাভোগের সুযোগে কোনো কোনো পত্রিকা জনহিতকর ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ ও প্রতিবেদন প্রকাশের পরিবর্তে অসত্য সংবাদ প্রকাশ করে থাকে, যা হলুদ সাংবাদিকতার নামান্তর।’
হাসানুল হক ইনু বলেন, তথ্য অধিদপ্তর, বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল, বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউট (পিআইবি) এবং জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট হলুদ সাংবাদিকতা রোধের ক্ষেত্রে কাজ করছে। পিআইবি হলুদ সাংবাদিকতা রোধের লক্ষ্যে সাংবাদিকদের সচেতন করার জন্য বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সে এই বিষয়ে একটি সেশন পরিচালনা করে থাকে। এ ছাড়া হলুদ সাংবাদিকতার প্রবণতা ও প্রকরণ বিষয়ে পিআইবির একটি গবেষণা কার্যক্রম এরই মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে এবং তা রিপোর্ট আকারে প্রকাশিত হয়েছে। হলুদ সাংবাদিকতা রোধের ক্ষেত্রে রিপোর্টটি অনেকটাই অনুঘটক (ক্যাটালিস্ট) হিসেবে কাজ করবে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমে কর্মরত রিপোর্টাররা সংবাদ প্রতিবেদন তৈরির ক্ষেত্রে মানদণ্ড অনুসরণের লক্ষ্যে জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট ‘এথিকস অব জার্নালিজম’ শিরোনামে সেশন পরিচালনা করে থাকে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল হলুদ সাংবাদিকতা রোধে সাংবাদিকদের জন্য নিয়মিত প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করে থাকে। বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল কর্তৃক ‘সংবাদপত্র, সংবাদ সংস্থা ও সাংবাদিকদের জন্য প্রণীত আচরণবিধি, ১৯৯৩ (২০০২ ও ২০০৩ সালে সংশোধিত)’ যথাযথভাবে অনুসরণের জন্য সাংবাদিকদের সচেতন করে থাকে। এ ছাড়া বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের উদ্যোগে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন সম্পর্কিত মতবিনিময় সভারও আয়োজন করা হয়ে থাকে।
হাসানুল হক ইনু বলেন, বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল হলুদ সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে নিজ উদ্যোগে অথবা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি আমলে নিতে পারে। প্রকাশিত সংবাদ হলুদ সাংবাদিকতার দায়ে দোষী বিবেচিত হলে প্রেস কাউন্সিল সংশ্লিষ্ট সংবাদপত্র, সংবাদ সংস্থা, সম্পাদক ও সাংবাদিককে সতর্ক, ভর্ৎসনা এবং তিরস্কার করা মামলার রায় দিতে পারে। সেই সাথে সংশ্লিষ্ট পত্রিকায় অনুরূপ রায় প্রকাশ করার নির্দেশনাও প্রদান করতে পারে।
তিনি বলেন, দেশের জনসাধারণ যাতে বস্তুনিষ্ঠ এবং নিরপেক্ষ সংবাদ পায় সেই লক্ষ্যে তথ্য অধিদপ্তর কর্মরত সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণ প্রদানসহ অনলাইনভিত্তিক গণমাধ্যমকে নিবন্ধন কার্যক্রমের আওতায় আনার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এ ছাড়া তথ্য অধিদপ্তর হলুদ সাংবাদিকতায় জড়িত সাংবাদিকদের নামে ইস্যুকৃত এক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল করে থাকে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, সর্বোপরি ‘বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল আইন, ১৯৭৪’ কে যুগোপযোগী করার লক্ষ্যে সংশোধন কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে।

বাসস