শ্রীবরদীর ইউএনওকে হত্যাচেষ্টা মামলায় পৌর মেয়র কারাগারে
শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) হত্যাচেষ্টার মামলায় শ্রীবরদী পৌরসভার মেয়র আবু সাঈদ চানকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আজ সোমববার দুপুরে আবু সাঈদ চান আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। আদালত তাঁর জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
গত ৩১ মার্চ দ্বিতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে ভোট গণনার সময় শ্রীবরদীর ইউএনও হাবিবা শারমিনের ওপর হামলার অভিযোগে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে শ্রীবরদী পৌরসভার মেয়র আবু সাঈদ চানকে বরখাস্ত করা হয়। একই সঙ্গে তাঁর বিরুদ্ধে ইউএনওকে হত্যাচেষ্টার মামলাও করা হয়। গত ১৩ এপ্রিল ইউএনও হাবিবা শারমিন বাদী হয়ে পৌর মেয়র আবু সাঈদ চানকে আসামি করে এই মামলা দায়ের করেন।
এই মামলায় দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর আজ দুপুরে শেরপুরের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে আত্মসমর্পণ করেন আবু সাঈদ চান। এ সময় বিচারক সরকার হাসান উদ্দিন পৌর মেয়রের জামিন নামঞ্জুর করে তাঁকে জেলহাজতে পাঠান।
দ্বিতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনে শ্রীবরদী উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নে সরকারি গাড়ি ব্যবহার করে ভোটকেন্দ্রে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করেন শ্রীবরদী পৌরসভার মেয়র ও আওয়ামী লীগ নেতা আবু সাঈদ চান। এ ব্যাপারে ইউএনও হাবিবা শারমিন তাঁকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেন। কিন্তু মেয়র আবু সাঈদ চান উল্টো ইউএনওকে অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং প্রাণনাশের হুমকি দেন।
ইউএনওর মামলায় অভিযোগ করা হয়, নির্বাচনে ভোট গণনা শেষে রাত ৮টার দিকে কাকিলাকুড়া ইউনিয়নের খামারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে দুর্বৃত্তরা প্রিসাইডিং কর্মকর্তাসহ নির্বাচনের সঙ্গে যুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবরুদ্ধ করে রেখেছে এমন সংবাদে ইউএনও তাঁদের উদ্ধার করতে যান। কেন্দ্র থেকে ফেরার পথে আবু সাঈদ চান ও তাঁর লোকজন ইউএনওর গাড়িতে হামলা চালান। এতে ইউএনও হাবিবা শারমিন ও তাঁর গাড়িচালক আহত হন। গাড়িটিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।