আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মাওলা রনি। এবার লড়ছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে। নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামার তথ্য অনুযায়ী, রনি ব্যবহার করেন লেক্সাস ২০১১ মডেলের জিপ। স্থাবর সম্পদের মধ্যে রয়েছে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় ১০ কাঠার প্লট, পূর্বাচল আবাসিক এলাকায় ১০ কাঠার প্লট। এ ছাড়া তোপখানা রোডের মেহেরবা প্লাজায় রয়েছে এক হাজার ৮৭৯ বর্গফুট অফিস। সাভারে রয়েছে ছয়তলা বাণিজ্যিক ও শিল্প ভবন। 

এ ছাড়া রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকার নায়েম রোডে আছে নিজের নামে অ্যাপার্টমেন্ট। গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালীর উলানিয়া বাজারে আছে নিজস্ব বসতবাড়ি। তবে তাঁর কাছে নেই কোনো নগদ টাকা! তবে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে রনির জমা রয়েছে ৬৫ হাজার টাকা। নিজের হলফনামায় এমন তথ্যই দিয়েছেন সাবেক এই সংসদ সদস্য। 

এক লাখ থেকে লাভ এক লাখ!

হলফনামা অনুযায়ী গোলাম মাওলা রনির বন্ড, ঋণপত্র, স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত ও তালিকাভুক্ত নয় এমন কোম্পানির শেয়ার রয়েছে এক লাখ টাকার। এই এক লাখ টাকা বিনিয়োগ থেকে বছরে তিনি আয়ও করেন এক লাখ টাকা! অন্তত হলফনামায় তিনি এটিই জানিয়েছেন। 

এ ছাড়া নিজের ব্যবসা খাত থেকে রনির বছরে আয় ২০ লাখ ২০ হাজার টাকা। 

স্ত্রীর আছে ৪০ তোলা সোনা 

হলফনামা অনুযায়ী, গোলাম মওলা রনির স্ত্রীর কোনো আয় নেই। ৪০ তোলা সোনা ছাড়া তাঁর নামে কোনো স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ নেই।

ঋণ প্রায় ছয় কোটি টাকা 

গোলাম মাওলা রনি তাঁর প্রতিষ্ঠান সেবোল্ট টেক্স লিমিটেডের নামে অগ্রণী ব্যাংক, বিবি এভিনিউ করপোরেট শাখা থেকে ঋণ নিয়েছেন। এখন তাঁর বকেয়া ঋণ রয়েছে পাঁচ কোটি ৯৬ লাখ ৪২ হাজার ৫৩৪ টাকা। 

ব্যয় মেটাতে ধার করবেন 

নির্বাচনী ব্যয় মেটাতে ধার করবেন সাবেক এই সংসদ সদস্য। সম্ভাব্য খরচ হিসেবে তাঁকে ২০ লাখ টাকা ধার দেবেন বারিধারার নর্দা রোডের বাসিন্দা ও অকো টেক্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুস সোবহান।

নিজ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থেকে রনি নেবেন আনুমানিক ১০ লাখ টাকা। এ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে বছরে তাঁর আয় হয় ২০ লাখ ২০ হাজার টাকা।

গোলাম মাওলা রনির বিরুদ্ধে পটুয়াখালী ও ঢাকার নিম্ন আদালতে তিনটি মামলা রয়েছে। তবে এর কোনোটিতেই এখনো অভিযোগপত্র দেয়নি পুলিশ। সব মামলাতেই উচ্চ ও নিম্ন আদালত থেকে জামিন নিয়েছেন তিনি। 

হলফনামার সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেওয়ার সনদপত্র সংযুক্ত করেছেন রনি।