বাতাস ঢুকিয়ে শিশু হত্যায় আরো দুজন গ্রেপ্তার
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে জোবায়দা স্পিনিং মিলের শিশু শ্রমিক সাগর বর্মণ হত্যার ঘটনায় আরো দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদিকে হত্যার বিচার দাবিতে মানববন্ধন করেছে একটি ইসলামী সংগঠন।
গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন মামলার এজাহারভুক্ত সৈয়দ আজাহার ইমাম সোহেল ও সোহাগ হোসেন হৃদয়। আজাহার ইমাম সোহেল জোবেদা টেক্সটাইল অ্যান্ড স্পিনিং মিলের জ্যেষ্ঠ উৎপাদন কর্মকর্তা। আজ মঙ্গলবার সকালে তাঁকে রূপগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। সোহাগ ওই মিলের লাইনম্যান।
র্যাব-১১-এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নরেশ চাকমা জানান, গতকাল সোমবার রূপগঞ্জের যাত্রামুড়া এলাকায় সৈয়দ আজাহার ইমাম সোহেলকে তাঁর কর্মস্থল জোবেদা স্পিনিং মিল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তদন্ত জসিম উদ্দিন জানান, আজ সকালে পুলিশ দীঘি বরাব এলাকা থেকে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার সন্দেহে লাইনম্যান সোহাগ হোসেন হৃদয়কে গ্রেপ্তার করেছে। এ নিয়ে সোহাগ হত্যা মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হলো।
এদিকে, শিশু শ্রমিক সাগর বর্মণ হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার নেতারা। আজ সকালে শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাব চত্বরে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সভাপতি শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, মহানগর কমিটির সহসভাপতি হাসান আলী।
বক্তারা অবিলম্বে সাগর হত্যার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। বক্তারা বলেন, মালিক প্রভাবশালী হওয়ায় মূল আসামিরা ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে। প্রকৃত আসামিদের পুলিশ গ্রেপ্তার করছে না।
গত রোববার রূপগঞ্জে একটি স্পিনিং মিলের শিশু শ্রমিক সাগরের পায়ুপথে বাতাস ঢোকানো হলে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে সে। পরে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় বিকেলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। এ ঘটনায় ওই দিনই স্পিনিং মিলের জুনিয়র কর্মকর্তা নাজমুল হুদাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গতকাল সকালে তার বাবা রতন বর্মণ রূপগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন।