নিহত ৯ জনের শরীরের পেছনে গুলির চিহ্ন
রাজধানীর কল্যাণপুরের আস্তানার নয় ‘জঙ্গি’ তাদের শরীরের পেছন দিকে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন।আজ বুধবার তাঁদের ময়নাতদন্ত শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. সোহেল মাহমুদ।
বেলা ১১টার দিকে ময়নাতদন্ত শুরু হয়। ডা. সোহেল মাহমুদের নেতৃত্বে তিন সদস্যের চিকিৎসক দল ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করেন। অন্য দুই চিকিৎসক হলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের প্রভাষক ডা. প্রদীপ বিশ্বাস ও ডা. সোহেল কবীর।
ডা. সোহেল মাহমুদ জানান, এঁদের সবারই শরীরের পেছন দিকে গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে। প্রত্যেকের শরীর থেকে সাত-আটটি করে গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। গুলিগুলো শরীরের পেছন দিকে বিদ্ধ ছিল। মাথা, বুক, পাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে এসব গুলির অবস্থান ছিল বলেও জানিয়েছেন তিনি।
‘জঙ্গি’রা কোনো নেশাজাতীয় দ্রব্য গ্রহণ করেছিল কি না, তা জানতে নিহতদের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডা. সোহেল মাহমুদ।
গত সোমবার দিবাগত রাত ১টার দিকে কল্যাণপুরের ৫ নম্বর রোডে ‘জাহাজ বিল্ডিং’ নামে পরিচিত সাততলা ভবনটিতে অভিযানে যান পুলিশ সদস্যরা। এ সময় ভবনের পঞ্চম তলা থেকে জঙ্গিরা ককটেল ছোড়ে। পরে ভবনটির আশপাশের এলাকা ঘিরে ফেলেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
জাহাজ বিল্ডিংয়ের পাশের ভবনগুলোর ছাদে অবস্থান নেয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ঘটনাস্থলের আশপাশের সবকটি সংযোগ সড়কেও ব্যারিকেড দেয় পুলিশ।
রাতভর পরিকল্পনার পর গতকাল মঙ্গলবার ভোর ৫টা ৫১ মিনিটে শুরু হয় ‘অপারেশন স্টর্ম টোয়েন্টিসিক্স’। ঘণ্টাখানেক মুহুর্মুহু গুলির শব্দে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে পুরো এলাকা। এরপর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ভবনের নিয়ন্ত্রণ নেন।
অভিযান শেষে পুলিশ কর্মকর্তা মারুফ হাসান জানান, নিহত জঙ্গিদের সবার পরনেই ছিল কালো পোশাক।