দেশের কারাগারগুলোতে ধারণক্ষমতার দ্বিগুণ বন্দী রয়েছে বলে জানিয়েছেন কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মোহাম্মদ ইফতেখার উদ্দীন। এ সময় তিনি কারারক্ষীদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণ ও জনবলের অভাবে যথাযথ সেবা নিশ্চিত করা যাচ্ছে না বলেও মন্তব্য করেন। 

আজ বৃহস্পতিবার সকালে গাজীপুরের কাশিমপুর কারা কমপ্লেক্স প্যারেড গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত ‘৪৫তম ব্যাচ কারারক্ষী ও মহিলা কারারক্ষীদের মৌলিক প্রশিক্ষণ কোর্সের’ সমাপনী কুচকাওয়াজে সালাম গ্রহণ শেষে কারা মহাপরিদর্শক সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এসব কথা বলেন।

 ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মোহাম্মদ ইফতেখার উদ্দীন বলেন, ‘দেশের কারাগারগুলোতে বর্তমানে ধারণক্ষমতার চেয়ে দ্বিগুণের বেশি কারাবন্দী রয়েছেন। দেশের কারাগারগুলোতে বর্তমানে ৩৪ হাজার কারাবন্দীর ধারণক্ষমতা রয়েছে, অথচ বর্তমানে সেখানে প্রায় ৭৪ হাজার কারাবন্দী রয়েছেন।

কারা মহাপরিদর্শক আরো বলেন, কারাগারগুলোর ধারণক্ষমতা বাড়ানোর জন্য কেরানীগঞ্জে একটি নতুন কারাগার স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। নতুন এই কারাগার নির্মাণ হলে এ সমস্যা কিছুটা লাঘব হবে। কারারক্ষীদের যথাযথ প্রশিক্ষণের অভাবে তাদের কাছ থেকে কাঙ্ক্ষিত মানের সেবা পাওয়া যাচ্ছে না। আবাসন সংকটের পাশাপাশি লোকবল সংকটও রয়েছে কারাগারগুলোতে।

১৯৮৪ সালের লোকবল নিয়ে কারাগারগুলোর নিরাপত্তা বিধান করতে হচ্ছে। এ সমস্যা সমাধানের জন্য আট হাজার নতুন কারারক্ষী নিয়োগের প্রস্তাব করা হয়েছে বলেও জানান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মোহাম্মদ ইফতেখার উদ্দীন।

কারা মহাপরিদর্শক কাশিমপুর কারা কমপ্লেক্স প্যারেড গ্রাউন্ডে পৌঁছে প্রশিক্ষণার্থীদের প্যারেড পরিদর্শন করেন এবং কুচকাওয়াজের সালাম গ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে তিনি কৃতী প্রশিক্ষণার্থী তিনজনকে পুরস্কার ও সনদ দেন।

কাশিমপুর কারা কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত চার সপ্তাহব্যাপী মৌলিক প্রশিক্ষণ কোর্সে দেশের বিভিন্ন কারাগারের ১১৬ জন কারারক্ষী অংশ নেন। পুরস্কারপ্রাপ্ত কারারক্ষীদের মধ্যে প্রথম হয়েছেন গাজীপুর জেলা কারাগারের কারারক্ষী মো. শামীম মিয়া, দ্বিতীয় হয়েছেন কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারের শিমুল আক্তার এবং তৃতীয় হয়েছেন চুয়াডাঙ্গা কারাগারের মো. ফারুক হোসেন। 

অনুষ্ঠানে কারা মহাপরিদর্শককে ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। এ সময় অনুষ্ঠানে ঢাকা বিভাগের কারা উপমহাপরিদর্শক গোলাম হায়দার খান, কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার পার্ট ১-এর সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা, পার্ট ২-এর সিনিয়র জেল সুপার প্রশান্ত কুমার বণিক, হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মিজানুর রহমান, মহিলা কারাগারের জেল সুপার জাহানারা বেগম, গাজীপুর জেলা কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুভাস চন্দ্র ঘোষসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।