তামাকের পরিবর্তে বান্দরবানে বাড়ছে আখ চাষ
পাহাড়ে ইক্ষু চাষ সম্প্রসারণে বান্দরবানে কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ বুধবার বিকেলে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের অডিটরিয়ামে বাংলাদেশ সুগারক্রম গবেষণা ইনস্টিটিউট আয়োজিত দিনব্যাপী কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর।
বাংলাদেশ ইক্ষু গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. এম খলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে কর্মশালায় আরো বক্তব্য দেন বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যশৈ হ্লা, বাংলাদেশ সুগারক্রম প্রকল্প পরিচালক ড. মো. আমজাদ হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. মাকসুদ চৌধুরী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অনির্বাণ চাকমা, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আলতাফ হোসেন, বান্দরবান সুগারক্রম গবেষণা কেন্দ্রের উপপরিচালক ক্যছেন প্রমুখ।
পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর বলেন, অর্থনৈতিকভাবে দেশ এখন অনেক বেশি স্বনির্ভর। তলাবিহীন ঝুড়ি বলে বাংলাদেশ নিয়ে যারা ব্যঙ্গ করত, তারাও এখন বাংলাদেশের সাফল্যের গুণগান গায়। বাংলাদেশ আগের মতো আমদানিনির্ভর নেই, দেশে উৎপাদিত পণ্য বিদেশে রপ্তানি করা হচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, বর্তমান সরকার কৃষিবান্ধব সরকার। আখ অর্থকরী একটি ফসল। গবেষণায় আখ চাষের সঙ্গে সঙ্গে সাথি ফসল চাষের পদ্ধতি প্রশংসনীয়। শুধু আখ চাষ নয়, সব ধরনের লাভজনক চাষাবাদে কৃষকদের আগ্রহী করে তুলতে হবে।
বাংলাদেশ ইক্ষু গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. এম খলিলুর রহমান বলেন, তামাক চাষের পরিবর্তে বান্দরবানে আখ চাষ বেড়েছে। তামাক চাষকে নিরুৎসাহিত করে আখ চাষ সম্প্রসারণ করা হচ্ছে পার্বত্যাঞ্চলে। তামাকের সঙ্গে সাথি ফসল হিসেবে আখ চাষ করে সফলতাও পেয়েছেন কৃষকরা। লাভ এবং ক্ষতির পরিমাণ চিন্তা করে কৃষকরা তামাক চাষ থেকে সরে আসছেন।
অনুষ্ঠানে আখ চাষের সফলতার জন্য তিন পার্বত্য জেলার তিন চাষিকে সম্মাননা দেওয়া হয়। এ ছাড়া পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর এবং পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা মারমাকে সম্মাননা ক্রেস্ট দেওয়া হয় সুগারক্রম গবেষণা কেন্দ্রের পক্ষ থেকে।