উত্তরে বিজয়ী আনিসুল
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বেসরকারিভাবে ঘোষিত ফলাফলে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী সমর্থিত প্রার্থী আনিসুল হক। তিনি এক লাখ ৩৫ হাজারের বেশি ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছেন।
urgentPhoto
এ সিটি করপোরেশনে মোট এক হাজার ৯৩টি কেন্দ্রের ঘোষিত ফলাফলে আনিসুল হক টেবিল ঘড়ি প্রতীকে পেয়েছেন চার লাখ ৬০ হাজার ১১৭ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নির্বাচন বর্জন করা বিএনপি সমর্থিত মেয়র পদপ্রার্থী তাবিথ আউয়াল বাস প্রতীকে পেয়েছেন তিন লাখ ২৫ হাজার ৮০ ভোট।
মঙ্গলবার দিনভর ভোটগ্রহণ শেষে সন্ধ্যার পর থেকে রাজধানীর শেরে বাংলা নগরের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অস্থায়ীভাবে স্থাপিত নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে এ ফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা শাহ আলম। আজ বুধবার সকাল পৌনে ৭টার দিকে দিকে তিনি চূড়ান্ত বেসরকারি ফল ঘোষণা করেন।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে মোট ভোটার সংখ্যা ২৩ লাখ ৪৫ হাজার ৩৭৪, যার মধ্যে নারী ভোটার সংখ্যা ১১ লাখ ২০ হাজার ৬৭৩ জন। মোট কেন্দ্রের সংখ্যা এক হাজার ৯৩টি এবং ভোটকক্ষের সংখ্যা পাঁচ হাজার ৮৯২টি। উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ১৬ জন মেয়র প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনেও জয় পেয়েছেন আওয়ামী সমর্থিত প্রার্থী সাঈদ খোকন। তিনি নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নির্বাচন বর্জন করা বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী মির্জা আব্বাসকে দুই লাখ ৪১ হাজার ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেন। রাজধানীর গুলিস্তানের মহানগর নাট্যমঞ্চের নির্বাচন নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র থেকে উত্তরের ফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মিহির সারওয়ার মোর্শেদ।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র পদপ্রার্থী আ জ ম নাছির। তিনি নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নির্বাচন বর্জন করা বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী সাবেক মেয়র এম মনজুর আলমকে এক লাখ ৭০ হাজারের বেশি ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেন।
সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরুর তিন ঘণ্টা পরই ব্যাপক কারচুপি ও অনিয়মের অভিযোগ এনে প্রথম নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র এম মনজুর আলম।
এরপর দুপুরে নির্বাচনে অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ এনে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র পদপ্রার্থী মির্জা আব্বাসের পক্ষে তাঁর স্ত্রী আফরোজা আব্বাস ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদপ্রার্থী তাবিথ আউয়াল রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে একযোগে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন।
তারপর সংবাদ সম্মেলন করে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদপ্রার্থী গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি। প্রায় কাছাকাছি বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) সমর্থিত ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের মেয়র পদপ্রার্থী আবদুল্লাহ আল ক্বাফি, দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদপ্রার্থী বজলুর রশিদ ফিরোজ ও গোলাম মাওলা রনিও নির্বাচন বর্জন করেন।
এ ছাড়া বেশ কিছু কাউন্সিলর প্রার্থী ভোটে অনিয়মের অভিযোগ এনে নির্বাচন বর্জন করেন।
এই তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র হতাশা ব্যক্ত করলেও প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) বলেছেন, প্রতিটি কেন্দ্রে ভোটারদের ব্যাপক উপস্থিতি ছিল। যেসব কেন্দ্রে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে তা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান সিইসি।
আর ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এক সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়েছে, নির্বাচনে পরাজয় নিশ্চিত জেনে ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি।
এ সংক্রান্ত আরো খবর:
সিটি নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিল বিএনপি