কাশিমপুর কারাগারের সামনে লাল-সবুজের ভিড়
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসির দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত মীর কাসেম আলীর রায় কার্যকর হতে পারে এমন সংবাদ পেয়ে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার এলাকায় মুক্তিযোদ্ধাসহ স্থানীয় উৎসুক জনতা ভিড় করেছেন।
আজ শনিবার বিকেল থেকেই শত শত জনতা এ এলাকায় আসতে থাকে। কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থা রয়েছে সেখানে। এর মধ্যেই তাঁরা সেখানে মীর কাসেম আলীর ফাঁসির দাবিতে স্লোগান দিচ্ছেন। এঁদের মধ্যে কেউ কেউ লাশ-সবুজের পতাকা হাতে নিয়ে এসেছেন। তাঁরা বিজয়সূচক ‘ভি’ চিহ্ন দেখাচ্ছেন।
সেখানে উপস্থিত ২ নম্বর সেক্টরের মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আকরাম হোসেন জাতীয় পতাকার রঙের জামা গায়ে দিয়ে এসেছেন। সেই জামায় লেখা রয়েছে, ‘তুই যুদ্ধাপরাধী, তুই মানবতাবিরোধী অপরাধী। তোরা ৩০ লাখ মানুষকে হত্যা আর দুই লাখ নারীর ইজ্জত লুট করেছিস। তুই রাজাকার। তোর ফাঁসিতেই বাংলাদেশ অভিশাপমুক্ত হবে। মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মা শান্তি পাবে।…’
অনবরত স্লোগান দিয়ে যাচ্ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা আকরাম হোসেন। এক ফাঁকে তিনি বলেন, সব যুদ্ধাপরাধীর সম্পদ বাজেয়াপ্ত করতে হবে।
আকরামের সঙ্গে সুর মিলিয়ে একই কথা বলেন ১১ নম্বর সেক্টরের মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ। তিনি বলেন, যুদ্ধাপরাধীরা এই দেশকে ধ্বংস করেছে। তাদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের মানুষের কল্যাণে ব্যয় করতে হবে।
মীর কাসেম আলী কারাগারের ৪০ নম্বর কনডেম সেলে রয়েছেন। তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাননি, তাই যে কোনো সময় কার্যকর করা হতে পারে জামায়াতের এই নেতার মৃত্যুদণ্ড।
আজ বিকেলে কারা কর্তৃপক্ষের নির্দেশে তাঁর সঙ্গে দেখা করে গেছেন পরিবারের সদস্যরা। কারাগারে পৌঁছেছে রায় বাস্তবায়নের নির্বাহী আদেশ। সেখানে অবস্থান করছেন কারা মহাপরিদর্শকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
তবে এখন পর্যন্ত রায় কার্যকরের সময় সম্পর্কে স্পষ্ট কোনো তথ্য জানায়নি প্রশাসন।