প্রেমিক-প্রেমিকার এমন বিদায়!

প্রেম ছিল। পরে তা গড়িয়েছে বিয়েতে। কিন্তু উভয়ের পরিবার তা মেনে নেয়নি। আর এ নিয়ে নিজেদের মধ্যে ছিল তীব্র হতাশা। গত বৃহস্পতিবার প্রেমিকের লাশ পাওয়া যায়। আর পরের দিন মারা যায় প্রেমিকা।
মেহেরপুরের গাংনীতে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, গত বৃহস্পতিবার আত্মহত্যা করেছেন প্রেমিক ইমরান হোসেন আর তা শুনে গত শুক্রবার আত্মহত্যা করেছেন প্রেমিকা সাবিনা ইয়াসমিন।
গাংনী থানায় এ ব্যাপারে একটি অপমৃত্যুর মামলা করা হয়েছে।
প্রেমিক ইমরান হোসেন গাংনী উপজেলার শালদহ গ্রামের বাসিন্দা। ইমরান গাংনী ডিগ্রি কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছিল। অন্যদিকে একই উপজেলার বাঁশবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা সাবিনা। সাবিনা ওই কলেজেরই এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিল।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ইমরান ও সাবিনার মধ্যে কয়েক মাস ধরে মন দেওয়া-নেওয়া চলছিল। সম্প্রতি তারা গোপনে বিয়েও করে ফেলে। তবে বিষয়টি দুই পরিবারের লোকজন শোনার পর মেনে নেয়নি।
গত বৃহস্পতিবার ইমরানকে অসুস্থ অবস্থায় নিজ বাড়িতে পাওয়া যায়। পরে ইমরানকে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ইমরান বিষাক্ত কিছু খেয়েছে। ওই দিনই তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে ইমরান মারা যায়।
এদিকে প্রেমিকের মৃত্যুর খবর শুনে সাবিনা গত শুক্রবার নিজ বাড়িতে ঘরের আড়ার সাথে গলাই ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। প্রতিবেশীরা টের পেয়ে সাবিনাকে উদ্ধার করে প্রথমে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নেয়। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি দেখা দিলে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওইদিন রাত ১০টায় কর্তব্যরত চিকিৎসক সাবিনাকে মৃত ঘোষণা করেন।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন জানান,এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যুর মামলা করা হয়েছে ।