ধর্ষণের শিকার শিশুটির অঙ্গহানি হতে পারে
দিনাজপুরের পার্বতীপুরে ধর্ষণের শিকার পাঁচ বছরের শিশুটির অঙ্গহানির আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।
আজ বুধবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মিজানুর রহমান এ কথা বলেন।
হাসপাতালের পরিচালক জানান, শিশুটির চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন বিভাগের চিকিৎসকদের নিয়ে নয় সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। চিকিৎসকরা শিশুটির পরীক্ষা শেষে জানিয়েছেন, তার দেহে ও মাথায় ক্ষতচিহ্ন রয়েছে। মানসিকভাবেও অনেকটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সে, যা সেরে উঠতে বেশ সময় লাগবে।
তবে শিশুটিকে সুস্থ করে তোলা যাবে বলে জানিয়েছেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মিজানুর রহমান।
এই মুহূর্তে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে শিশুটিকে।
দিনাজপুরের পার্বতীপুরে ধর্ষণের শিকার পাঁচ বছরের শিশুটিকে ধর্ষণের ছয়দিন পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে আনা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে শিশুটিকে ঢামেকে ভর্তি করা হয়।
গত ১৮ অক্টোবর পার্বতীপুর উপজেলার জমিরহাট এলাকার তকেয়াপাড়া গ্রামের শিশুটি নিখোঁজ হয়। অনেক খোঁজাখুঁজি করে শিশুটিকে না পেয়ে সেদিনই রাত ১১টার দিকে পার্বতীপুর মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তার বাবা। পরদিন ভোর ৬টায় শিশুটিকে বাড়ির পাশের একটি হলদিক্ষেত থেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারের পরই তাকে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দিয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানেই চিকিৎসকরা জানান, ধর্ষণের শিকার হয়েছে শিশুটি।
এরপর গত বৃহস্পতিবার রাতে শিশুটির বক্তব্যের ওপর ভিত্তি করে শিশুটির বাবা বাদী হয়ে একই গ্রামের সাইফুল ইসলাম (৪২) ও আফজাল হোসেন কবিরাজকে (৪৮) আসামি করে পার্বতীপুর মডেল থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করেন। পরে আসামি সাইফুল ইসলামকে দিনাজপুর শহর থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এদিকে, রংপুরে চিকিৎসাধীন শিশুটির শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকরা তাকে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু অর্থাভাবে শিশুটিকে তার পরিবার ঢাকায় নিতে পারেনি। সর্বশেষ গত সোমবার রাতে‘জাস্টিস ফর ওম্যান’ নামে একটি সংগঠনের সহযোগিতায় শিশুটিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়া হয়।