সালাহ উদ্দিনের বিষয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি এমাজউদ্দীনের
বিএনপি নেতা সালাহ উদ্দিন আহমেদ সম্পর্কে সঠিক তথ্য তুলে ধরতে বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি করেছেন শত নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ। আজ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবে স্বাধীনতা ফোরাম নামে একটি সংগঠন আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ দাবি করেন।
এমাজউদ্দীন আহমদ বলেন, সালাহ উদ্দিন আহমেদ কীভাবে ভারতে গেলেন এবং এ দুই মাস তিনি কোথায় ছিলেন, কীভাবে ছিলেন—এসব বিষয়ে জনগণকে সঠিক তথ্য জানাতে বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রয়োজন।
এমাজউদ্দীন আহমদ বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে সরকার। অনেককে অন্যায়ভাবে কারাবন্দী করা হয়েছে।
urgentPhoto
গত সোমবার শিলংয়ের একটি রাস্তায় ইতস্তত ঘোরাঘুরি করছিলেন সালাহ উদ্দিন আহমেদ। এ সময় সন্দেহজনকভাবে চলাফেরার কারণে তাঁকে আটক করে শিলং পুলিশ। এর পর চিকিৎসার জন্য প্রথমে তাঁকে শিলং সিভিল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি নিজেকে বাংলাদেশের সাবেক প্রতিমন্ত্রী দাবি করলে সন্দেহ হয় পুলিশের। পরে তাঁকে মানসিক চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয় মেঘালয় ইনস্টিটিউট অব মেন্টাল হেলথ অ্যান্ড নিউরোসায়েন্স (মিমহ্যানস) হাসপাতালে।
গত ১৯ মার্চ গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি উপজেলার ব্রহ্মপুত্র নদের দুর্গম চরাঞ্চলে সালাহ উদ্দিন আহমেদের সন্ধান পাওয়ার গুজব উঠেছিল। পরে ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কারো সন্ধান পায়নি।
গত ১০ মার্চ থেকে ‘নিখোঁজ ছিলেন’ বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদ। তাঁকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে তাঁর পরিবার ও দলটির পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে।
তবে সালাহ উদ্দিন আহমেদকে আটক করা হয়নি বলে দাবি করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
সালাহ উদ্দিন আহমেদের সন্ধান চেয়ে ১১ মার্চ রাতে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে গুলশান ও উত্তরা পশ্চিম থানায় যান তাঁর স্ত্রী ও সাবেক সংসদ সদস্য হাসিনা আহমেদ। তবে কোনো থানাই তাঁর জিডি গ্রহণ করেনি।
সালাহ উদ্দিন আহমেদকে খুঁজে বের করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে স্মারকলিপি দেন তাঁর স্ত্রী হাসিনা আহমেদ।
রাজধানীর উত্তরার একটি বাড়ি থেকে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় ১০ মার্চ—এমন অভিযোগ করে থানা পুলিশের পাশাপাশি উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয় সালাহ উদ্দিনের পরিবার।
গত ১২ মার্চ হাসিনা আহমেদের করা এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদকে কেন খুঁজে বের করা হবে না এবং রোববার তাঁকে আদালতে হাজির করার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। গত ২০ এপ্রিল হাইকোর্ট আগামী ছয় মাস সালাহ উদ্দিন আহমেদের খোঁজ অব্যাহত রাখার নির্দেশ দেন।