‘রসরাজ নির্দোষ হলে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হবে’
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে ফেসবুকে পবিত্র কাবা নিয়ে ব্যাঙ্গচিত্র পোস্ট করার ঘটনায় অভিযুক্ত রসরাজ দাস যদি নির্দোষ প্রমাণিত হয় তাহলে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। আজ সোমবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, নাসিরনগরের পরিস্থিতি এখন শান্ত আছে। আর পুরো ঘটনাটির ব্যাপারে তদন্ত চলছে। তদন্তে যারাই দোষী প্রমাণিত হবে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ সময় আরো বলেন, আগামীকাল মঙ্গলবার পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হকসহ তিনি ঘটনাস্থলে যাবেন।
এর আগে গত ২৮ অক্টোবর (শুক্রবার) নাসিরনগর উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের হরিণবেড় গ্রামের রসরাজ দাস নামের এক যুবক পবিত্র কাবাঘরের ছবি সম্পাদনা করে ফেসবুকে পোস্ট করেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। এরপর স্থানীয় লোকজন তাঁকে পুলিশে সোপর্দ করে। এ ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়লে শনিবার দিনভর নাসিরনগর সদর উত্তাল হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় পরের দিন রোববার উপজেলা সদরের কলেজ মোড়ে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ হয়। সমাবেশ চলাকালে সদরের কয়েকটি মন্দির ও হিন্দুদের বাড়িতে হামলা হয়।
ভাঙচুরের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত কাজল দত্ত ও নির্মল দত্ত বাদী হয়ে গত সোমবার নাসিরনগর থানায় দুটি মামলা করেন। স্থানীয় জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও পুলিশ সদর দপ্তরের উদ্যোগে তিনটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ ছাড়া নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল কাদের ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) চৌধুরী মোয়াজ্জেম হোসেনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
নাসিরনগরে মন্দির ও বাসাবাড়িতে হামলার ঘটনায় শুক্রবার আওয়ামী লীগের স্থানীয় তিন নেতাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। তিন নেতা হলেন নাসিরনগরের হরিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ফারুক আহম্মেদ, চাপড়তলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সুরুজ আলী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহপ্রচার সম্পাদক আবুল হাশেম।