ছেলেধরা সন্দেহে পিটিয়ে হত্যা : সাক্ষী না আসায় ফের পেছাল সাক্ষ্যগ্রহণের দিন
রাজধানীর উত্তর বাড্ডায় ছেলেধরা সন্দেহে তাসলিমা বেগম রেনুকে পিটিয়ে হত্যা মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ ফের পিছিয়েছে। আজ বুধবার (২৪ মে) সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য থাকলেও আসেননি কোনো সাক্ষী। এর ফলে আগামী ১৫ জুন সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন আদালত।
আজ বুধবার ( ২৪ মে) ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মুরশিদ আহম্মেদ এই দিন ধার্য করেন।
২০১৯ সালের ২০ জুলাই সকালে উত্তর-পূর্ব বাড্ডার বাড্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছেলেধরা সন্দেহে রেনুকে পিটিয়ে হত্যা করেন স্থানীয়রা। স্কুলটিতে নিজের চার বছর বয়সী মেয়েকে ভর্তি করানোর জন্য তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়েছিলেন রেনু।
এ সময় স্কুলের গেটে রেনুর পরিচয় জানতে চান সেখানে অবস্থান করা কয়েকজন অভিভাবক। পরে তাকে প্রধান শিক্ষিকার কক্ষে নিয়ে গেলে কে বা কারা এলাকায় গুজব ছড়িয়ে দেয়, স্কুলে একজন ছেলেধরাকে আটক করা হয়েছে। এরপর স্থানীয় কয়েকশ মানুষ স্কুলের গেট ভেঙে রেনুকে প্রধান শিক্ষিকার কক্ষ থেকে টেনেহিঁচড়ে বের করে পেটাতে শুরু করে। পুলিশ রেনুকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত রেনুর বাড়ি লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলায়। রাজধানীর মহাখালীতে চার বছরের মেয়ে ও মাকে নিয়ে থাকতেন তিনি। স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হওয়া রেনুর ১১ বছরের একটি ছেলেও রয়েছে। ছেলেটি বাড্ডায় বাবার সঙ্গে থাকত।
এ ঘটনায় রেনুর ভাগ্নে নাসির উদ্দিন বাদি হয়ে বাড্ডা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলার পরে হৃদয়, বাচ্চু, মো. বাপ্পী, মো. শাহীন, রিয়া খাতুনসহ ১৪ আসামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
মামলার তদন্ত শেষে ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে ২০২০ সালের ১০ সেপ্টেম্বর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) মতিঝিল বিভাগের অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও মাদক নিয়ন্ত্রণ টিম। ২০২০ সালের ২ ডিসেম্বর ১৫ জনের বিরুদ্ধে পুলিশের দাখিল করা অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন আদালত। ২০২১ সালের ১ এপ্রিল এই মামলায় প্রাপ্তবয়স্ক ১৩ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন বিচারক। অভিযোগপত্রে থাকা ১৫ আসামির মধ্যে ১৪ জনই কারাগারে রয়েছে। শুধু আসামি মো. মহিউদ্দিন পলাতক রয়েছেন।