যেকোনো সময়ের চেয়ে বিজিবি-বিএসএফ সম্পর্ক ভালো : বিজিবি মহাপরিচালক
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এ কে এম নাজমুল হাসান বলেছেন, ‘আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বর্তমানে বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে খুব ভালো সম্পর্ক রয়েছে। আমরা একে অপরে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে নিজ নিজ দেশের জন্য কাজ করছি। ফলে আমরা যেকোনো সমস্যা সমাধান করতে পারি।’
আজ রোববার (২৮ মে) দুপুর ২টায় বিজিবির মহাপরিচালক দিনাজপুরের হিলি সীমান্ত ও স্থলবন্দর পরিদর্শনে এসে চেকপোস্টের জিরোপয়েন্টে বিএসএফের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে দুই দেশের সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
এর আগে মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এ কে এম নাজমুল হাসান জয়পুরহাট ২০ বিজিবি ব্যাটালিয়ন পরিদর্শন করে হিলি চেকপোস্টের জিরোপয়েন্টে আসেন। এ সময় ভারতের বিএসএফের রায়গঞ্জ সেক্টরের ডিআইজি কুলওয়ান্ট রায় শার্মা তাঁকে ফুল ও ক্রেস্ট দিয়ে অভ্যর্থনা জানান। পক্ষান্তরে মহাপরিচালক বিজিবির পক্ষেও বিএসএফকে ক্রেস্টসহ উপহার দেন। এরপর জিরোপয়েন্টের ভারত অংশে বিএসএফের আমন্ত্রণে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে সীমান্ত সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে মতবিনিময় করেন তিনি।
মতবিনিময় শেষে বিজিবির মহাপরিচালক আরও বলেন, ‘আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর হিলি সীমান্ত, জয়পুরহাট ব্যাটালিয়ন ও বিভিন্ন বিওপি ভিজিট করেছি। বিজিবি সদস্যরা কীভাবে দায়িত্ব পালন করছেন, তা দেখতে এখানে এসেছি। দেশের মধ্যে হিলি একটি গুরুত্বপূর্ণ সীমান্ত ও স্থলবন্দর। এই চেকপোস্ট দিয়ে পাসপোর্টের মাধ্যমে লোকজন বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে যাতায়াত করেন।’
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিজিবির মহাপরিচালক বলেন, ‘আগামীতে বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে হিলি চেকপোস্ট জিরোপয়েন্টে রিট্রিট সেরিমনি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দুই বাহিনীর মধ্যে সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করা হবে। তবে হিলি রেলস্টেশনে ট্রেন থামা বা না থামার বিষয়ে আমাদের পক্ষে কোনো বাধা নেই।’
এ সময় মহাপরিচালকের সঙ্গে ছিলেন বিজিবি সদর দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ছাড়াও বিজিবির উত্তর-পশ্চিম রিজিয়ন (রংপুর) কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ মোরশেদ আলম, বিজিবির দিনাজপুর সেক্টর কমান্ডার কর্নেল রাশেদ আসগর ও জয়পুরহাট-২০ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. রফিকুল ইসলাম।