বিএনপিনেতা মো. জিল্লুর রহমানের দাফন সম্পন্ন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. জিল্লুর রহমানের (৭৫) মরদেহ দাফন সম্পন্ন হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে টেংকের মসজিদ প্রাঙ্গণে জানাজা শেষে শহরের শেরপুর কবস্থানে তাঁর মরদেহ দাফন করা হয়।
জানাজা কেন্দ্রীয় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী উপস্থিত ছিলেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, দুঃশাসনের মাধ্যমে যারা জোর করে ক্ষমতায় আছে, তাদের কাছ থেকে ভালো কিছু আশা করা যায় না। আজ গোটা জাতি শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থায় আছে। দেশের ক্রান্তি লগ্নে জিল্লুর রহমানের মতো ত্যাগী নেতার চলে যাওয়া দলের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। মূলত নির্যাতন-নীপিড়নের শিকার হয়েই অকালে তিনি চলে গেছেন।
জানাজায় আরও উপস্থিত ছিলেন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা এ কে এম একরামুজ্জামান, কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মোস্তাক মিয়া, অর্থবিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার, বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠন ও নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ।
জানাজা শেষে মরহুম জিল্লুর রহমানের কফিনে ফুলেল শ্রদ্ধায় শেষ বিদায় জানান নেতাকর্মীরা।
মো. জিল্লুর রহমান গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় পৌনে ৭টার দিকে জেলা শহরের জেল রোডে ল্যাব এইড স্পেশাইজড হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও দুই মেয়ে, রাজনৈতিককর্মীসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে কিডনি রোগ ও হেপাটাইটিস-বিতে ভোগছিলেন। তাঁর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে মরহুমের বাড়িতে দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সহকর্মী নেতাকর্মীসহ স্বজনরা তাঁকে এক নজর দেখতে ভিড় করেন। এ সময় এক শোকাবহ পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
মো. জিল্লুর রহমান ১৯৭৮ সালে ছাত্র ইউনিয়নের মাধ্যমে রাজনৈতিক জীবনের সূচনা করেন। তবে বিএনপি প্রতিষ্ঠার পর থেকেই তিনি দলটির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। তিনি তাঁর দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে জেলা বিএনপির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করেছেন।