‘লাশ গুলিবিদ্ধ, ঢাকায় দাফন করা যাবে না শর্ত দেয় পুলিশ’
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় রাজধানীর রামপুরা ও খিলগাঁওয়ে গুলি করে দুজনকে হত্যা এবং দুজনকে আহত করার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় দিনের সাক্ষ্য দিয়েছেন শিশু জুলাই যোদ্ধা মুসার বাবা মো. মোস্তাফিজুর রহমান। পুলিশের ছোড়া গুলি শিশুটির মাথা ভেদ করে তার দাদী মায়া ইসলামের পেটে বিদ্ধ হয়। এতে শিশুটির দাদি মারা যান। সাক্ষীর জবানবন্দিতে নিহতের ছেলে ও রামপুরার বাসিন্দা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘আমার মা (গুলিবিদ্ধ হয়ে) হাসপাতালে মারা যাওয়ার পর পুলিশ ঢাকায় দাফন পর্যন্ত করতে দেয়নি। তারা শর্ত দেয়, লাশ নিয়ে রামপুরায় যাওয়া যাবে না।’
আজ সোমবার (২৭ অক্টোবর) বেলা সোয়া ১১টার দিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। সাক্ষীর জবানবন্দি রেকর্ড করছেন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারপতি অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
আরও পড়ুন : শেখ হাসিনাসহ তিনজনের রায় কবে জানা যাবে ১৩ নভেম্বর
সাক্ষীর জবানবন্দিতে মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘আমি বৈদ্যুতিক সরঞ্জামাদির ব্যবসা করি। আমার একটি দোকান আছে। ২০২৪ সালের ১৯ জুলাই (শুক্রবার) আনুমানিক বেলা ৩টা থেকে সাড়ে ৩টার সময় আমার বাবাকে খাবার পৌঁছে দেওয়ার উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হওয়ার সময় আমার ছেলে মো. বাসিত খান মুসা (৬) আইসক্রিম খেতে চায়। তখন আমি আমার মা ও আমার ছেলেকে নিয়ে বাসার নিচে নামি। মাকে বলি—আইসক্রিম কিনে দেওয়ার পর আমার ছেলেকে নিয়ে বাসায় চলে যাবে। বাসার নিচে নামার পর গেটের বাহির থেকে পুলিশের ছোড়া একটি গুলি আমার ছেলের মাথায় লেগে মাথা ভেদ করে পেছন দিয়ে বের হয়ে যায়।’
‘তাৎক্ষণিকভাবে আমি আমার ছেলেকে কোলে করে পার্শ্ববর্তী ফেমাস হাসপাতালে নিয়ে যাই। আমার বাসা থেকে আনুমানিক ৭০ ফিট দূরে রামপুরা থানা ভবন অবস্থিত। আমি আমার বাসার গেট থেকে দেখতে পাচ্ছিলাম—ঐ থানার ওসি মশিউর রহমানসহ আরও কয়েকজন পুলিশ সদস্য সরাসরি গুলি করছিল। ফেমাস হাসপাতালের ডাক্তার প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে দ্রুত আমার ছেলেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেন। আমি অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাই। সন্ধ্যা আনুমানিক ৭টার দিকে আমরা হাসপাতালে পৌঁছাই। এরপর ফোন করলে আমার বাবা ও স্ত্রী ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসে। আমার ছেলের মাথায় ডাক্তাররা অপারেশন করে। তখন আমি আমার মাকে খুঁজে পাচ্ছিলাম না। তাকে বারবার ফোন করেও পাইনি। পরবর্তীতে আমার এক প্রতিবেশীকে ফোন করে বলি, তিনি যেন আমার ফ্ল্যাটে গিয়ে আমার মায়ের খোঁজ করেন। তখন তিনি আমাকে জানান, আমার ছেলের মাথায় যে গুলিটি লেগেছিল, সেই গুলিটি আমার ছেলের মাথা ভেদ করে মায়ের পেটে লেগেছে। আমি তাৎক্ষণিকভাবে আমার ছেলেকে নিয়ে বাসা থেকে বের হয়ে আসায় মায়ের গুলি লাগার বিষয়টি জানতে পারিনি, যোগ করেন মোস্তাফিজুর রহমান।
আরও পড়ুন : সেনা কর্মকর্তাদের সাব জেলে রাখার সিদ্ধান্ত : কারা মহাপরিদর্শক
সাক্ষীর জবানবন্দিতে মোস্তাফিজুর রহমান আরও বলেন, ‘তারা (প্রতিবেশীরা) আমার মাকে তাৎক্ষণিক ফরাজী হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন, আমি যেন আমার কোনো আত্মীয়কে আমার মায়ের কাছে ফরাজী হাসপাতালে পাঠাই। আমার স্ত্রী বাসা থেকে বের হওয়ার আগেই আমার মাকে প্রতিবেশীরা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কারণে আমার স্ত্রী আমার মায়ের গুলি লাগার সংবাদ জানতে পারেনি। বাইরে অনেক গোলাগুলি হওয়ার কারণে আমরা কেউ ঢাকা মেডিকেল থেকে বের হয়ে ফরাজী হাসপাতালে যেতে পারছিলাম না। আমি আমার এক আত্মীয়কে ফোন করে দ্রুত ফরাজী হাসপাতালে যেতে বলি এবং তিনি পরে ফরাজী হাসপাতালে যান। আমার ঐ আত্মীয়ের নাম সারোয়ার হোসেন।’
‘সেখানে তিনি (সারোয়ার) দেখেন, আমার মা ফরাজী হাসপাতালে শায়িত আছেন। ডাক্তাররা তাকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেন। গাড়ি না পাওয়ায় তিনি আমার মাকে ঢাকা মেডিকেলে আনতে পারেননি। বাইরে তখন অনেক গোলাগুলি হচ্ছিল। ঐ দিন রাত ১১টার দিকে আমি আমার বাবাকে ফরাজী হাসপাতালে পাঠাই। রাতে অ্যাম্বুলেন্স না পাওয়ায় বাবাও গুলিবিদ্ধ মাকে ঢাকা মেডিকেলে আনতে পারেননি। পরদিন (২০২৪ সালের ২০ জুলাই) ভোর ৫টার দিকে আমি ঢাকা মেডিকেল থেকে একটি অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে ফরাজী হাসপাতালে পাঠাই। ঐ অ্যাম্বুলেন্সে করে বাবা আমার মাকে নিয়ে ঢাকা মেডিকেলে আসেন। পথিমধ্যে মায়ের অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। হাসপাতালে নামানোর পর ডাক্তাররা মায়ের ইসিজি করেন। এরপর তাকে মৃত ঘোষণা করেন ডাক্তাররা’, বলতে বলতে কান্নায় ভেঙে পড়েন সাক্ষী মোস্তাফিজুর রহমান।
মোস্তাফিজুর রহমান আরও বলেন, ‘আমার মায়ের লাশ মর্গে নিয়ে যাওয়া হয়। তখন আমার ছেলে আইসিইউতে ছিল। আমি আমার মায়ের লাশ নিতে চাইলে মেডিকেল কর্তৃপক্ষ জানায়, যেহেতু সে রামপুরা থানা এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়েছে, তাই লাশ নিতে হলে রামপুরা থানা পুলিশের অনুমতি লাগবে। আমি রামপুরা থানার ওসির মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে তাকে ফোন করে অনুরোধ করি, যেন থানা থেকে একজন পুলিশ সদস্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।’
আরও পড়ুন : মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডের মুখে শেখ হাসিনা : টেলিগ্রাফ
সাক্ষীর জবানবন্দিতে মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘২০২৪ সালের ২০ জুলাই দুপুরে আমি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে একজনকে মোটরসাইকেলসহ রামপুরা থানায় পাঠাই। এরপর দুজন সাব-ইন্সপেক্টর (উপপরিদর্শক) সিভিল পোশাকে ঢাকা মেডিকেলে আসেন। তারা বলেন, যেহেতু লাশটি গুলিবিদ্ধ তাই লাশটি এখন দেওয়া যাবে না। অনেক অনুরোধের পরও তারা লাশ দিতে রাজি হয়নি। পরবর্তীতে তারা এই শর্তে রাজি হয়, লাশ নিয়ে রামপুরায় নেওয়া যাবে না। তাদের কথামতো বাবা আমার মায়ের লাশ নিয়ে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানায় গ্রামের বাড়িতে নিয়ে দাফন করেন। আমার ছেলে আইসিউতে থাকায় আমি আমার মায়ের লাশের সঙ্গে যেতে পারিনি। আমার ছেলে ২০২৪ সালের ২৬ আগস্ট পর্যন্ত আইসিইউতে ভর্তি ছিল। এরপর তাকে সিএমএইচে (সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে) নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে সে ২০২৪ সালের ২২ অক্টোবর পর্যন্ত আইসিইউতে ছিল। তার স্বাস্থ্যের অবস্থার অবনতি হতে থাকলে চিকিৎসকেরা তাকে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসার জন্য পাঠানোর পরামর্শ দেয়। পরবর্তীতে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করা হয়।’
মোস্তাফিজুর রহমান আরও বলেন, ‘২০২৪ সালের ২৩ অক্টোবর থেকে ২০২৫ সালের ৩ এপ্রিল পর্যন্ত আমার ছেলে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা গ্রহণ করে। তার চিকিৎসার সব খরচ সরকার বহন করেন। সিঙ্গাপুর থেকে তাকে আবার সিএমএইচে অবজারবেশনে (পর্যবেক্ষণে) রাখা হয় ২০২৫ সালের ৯ জুলাই পর্যন্ত। এরপর ৯ জুলাই তাকে পুনরায় সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। এবার সে ২০২৫ সালের ২৬ জুলাই পর্যন্ত সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা গ্রহণ করে। এরপর দেশে ফিরে আমার ছেলে সিঙ্গাপুর থেকে আনা খাবার এনজিটিউবের মাধ্যমে নাক দিয়ে গ্রহণ করে। আমার ছেলের ডানদিক এখনও প্যারালাইজড। সে কথাও বলতে পারে না। চলাফেরাও করতে পারে না।’ এ পর্যায়ে জুলাই যোদ্ধা শিশু মুসাকে ট্রাইব্যুনালের এজলাসে আনলে তার মাথায় গুলির ক্ষতচিহ্ন এবং চিকিৎসার সরঞ্জামাদি দেখা যায়।
শিশু মুসার বাবা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘আমি রামপুরা থানার ওসিকে সরাসরি অস্ত্র হাতে গুলি করতে দেখেছি। সেখানে আরও অনেক পুলিশ ছিল। পরবর্তীতে জানতে পেরেছি, সেখানে চঞ্চল নামেও একজন পুলিশ ছিল। আমার মাকে হত্যা এবং সন্তানকে এই অবস্থা করার জন্য যারা দায়ী, আমি তাদের বিচার চাই।’ এ পর্যায়ে সাক্ষী পুনরায় কান্নায় ভেঙে পড়েন।
ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম। তার সঙ্গে ছিলেন প্রসিকিউটর ফারুক আহাম্মদ।
আরও পড়ুন : ‘আকাশ থেকে সোজা বোম্বিং, হেলিকপ্টার দিয়ে মারবে’
গত ২৩ অক্টোবর প্রসিকিউশনের সূচনা বক্তব্য উপস্থাপনের মাধ্যমে এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। প্রথম সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দেন রামপুরায় নির্মাণাধীন ভবনের কার্নিশে ঝুলে থাকে গুলিবিদ্ধ হওয়া আমির হোসেন। পরে তাকে জেরা করেন পলাতক তিন আসামির পক্ষে রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন ও গ্রেপ্তার চঞ্চল চন্দ্র সরকারের আইনজীবী সারওয়ার জাহান।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল-১। ওই দিন এ মামলায় এই মামলার আসামি রামপুরা পুলিশ ফাঁড়ির সাবেক সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) চঞ্চল চন্দ্র সরকারকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করে পুলিশ। তার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সারওয়ার জাহান। আসামিকে অভিযোগ পড়ে শোনান তিনি। এরপর নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন আসামি চঞ্চল। গত ১৬ সেপ্টেম্বর মামলার বাকি পলাতক চার আসামির পক্ষে শুনানি করেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন। তিনি এ মামলা থেকে চার আসামির অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেন।
ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ এ মামলার পলাতক আসামিরা হলেন—খিলগাঁও জোনের সাবেক অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (এডিসি) মো. রাশেদুল ইসলাম, রামপুরা থানার সাবেক ওসি মো. মশিউর রহমান ও রামপুরা থানার সাবেক এসআই তারিকুল ইসলাম ভূঁইয়া। গত ১০ আগস্ট তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল।
গত ১ সেপ্টেম্বর পলাতক চার আসামির পক্ষে স্টেট ডিফেন্স নিয়োগ দেন ট্রাইব্যুনাল। গত ২৫ আগস্ট পলাতক আসামিদের ট্রাইব্যুনালে হাজিরের জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়। গত ৭ আগস্ট প্রসিকিউশনের পক্ষে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) দাখিল করেন প্রসিকিউটর ফারুক আহাম্মদ। গত ৩১ জুলাই চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয়ে এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন তদন্ত সংস্থার কর্মকর্তারা।
মামলার অভিযোগ সূত্রে আরও জানা গেছে, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ২০২৪ সালের ১৯ জুলাই বিকেলে রামপুরায় হোটেলে কাজ শেষে ঢাকায় থাকা ফুফুর বাসায় ফিরছিলেন আমির হোসেন। তার গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। বনশ্রী-মেরাদিয়া সড়কের দুই পাশে পুলিশ-বিজিবির গাড়ি দেখে ভয়ে প্রাণ বাঁচাতে পাশে থাকা একটি নির্মাণাধীন চারতলা ভবনের ছাদে ওঠেন তিনি। ওই সময় পুলিশও তার পিছু পিছু যায়। একপর্যায়ে জীবন বাঁচাতে ওই নির্মাণাধীন ভবনটির ছাদের কার্নিশের রড ধরে ঝুলে থাকেন আমির। কিন্তু তাকে দেখে ফেলে পুলিশ। পরে তাকে লক্ষ্য করে ছয়টি গুলি ছোড়েন এক পুলিশ সদস্য। এতে তিনতলায় পড়ে যান আমির। তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করেন। এরপর বনশ্রীর একটি হাসপাতালে নেওয়া হয় তাকে। ওইদিন রাতেই তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠান চিকিৎসকরা। সেখানে দীর্ঘদিন চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফেরেন ভুক্তভোগী ওই তরুণ।
গত ২৬ জানুয়ারি রাতে আমির হোসেনকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো সাবেক এএসআই চঞ্চল সরকারকে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ ছাড়া ২০২৪ সালের ১৯ জুলাই রামপুরার বনশ্রী এলাকায় পুলিশের গুলিতে নাদিমের আরও একজন নিহত হন।

নিজস্ব প্রতিবেদক