সালমান শাহ হত্যা মামলা : সামিরা হক-ডনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
চিত্রনায়ক সালমান শাহ হত্যা মামলায় তার স্ত্রী সামিরা হক ও খলনায়ক আশরাফুল হক ওরফে ডনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার (২৭ অক্টোবর) ঢাকার মেট্রোপলিটন সাইফুজ্জামান এই আদেশ দেন।
এদিন রমনা থানার পরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আতিকুল আলম খন্দকার আসামিদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আবেদন করেন। সালমান শাহ হত্যা মামলার আইনজীবী ফারুক আহম্মেদ এনটিভি অনলাইনকে বিষয়টি জানিয়েছেন।
নথি থেকে জানা গেছে, গত ২১ অক্টোবর রমনা থানায় সালমান শাহর মৃত্যুর ঘটনায় ১১ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়। মামলাটি করেন সালমান শাহ’র মামা মোহাম্মদ আলমগীর। তিনি দণ্ডবিধির ৩০২ ও ৩৪ ধারায় মামলা দায়ের করেন। আসামিরা হলেন—সামিরা হক, আজিজ মোহাম্মদ ভাই, লতিফা হক লুসি, ডন, ডেভিড, জাভেদ, ফারুক, রুবি, এ সাত্তার, সাজু ও রিজভি আহমেদ ফারহাদ।
আরও পড়ুন : সালমান শাহের অপমৃত্যু : রহস্য উদঘাটনে নতুন মোড়!
এর আগে গত ২০ আগস্ট চিত্রনায়ক সালমান শাহের অপমৃত্যু মামলায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে মামলাটি খারিজ করে দেওয়া আদেশের বিরুদ্ধে করা রিভিশন মঞ্জুর করেন আদালত।
১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর মারা যান চলচ্চিত্র নায়ক চৌধুরী মোহাম্মদ শাহরিয়ার ইমন ওরফে সালমান শাহ। ওই সময় তার বাবা কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরী অপমৃত্যুর মামলা করেন। পরবর্তীতে ১৯৯৭ সালের ২৪ জুলাই তিনি ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে অভিযোগ করে মামলাটিকে হত্যা মামলায় রূপান্তরের আবেদন জানান। সিআইডি দীর্ঘ তদন্ত শেষে ওই বছরের ৩ নভেম্বর আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে, যেখানে ঘটনাটিকে আত্মহত্যা বলে উল্লেখ করা হয়।
আরও পড়ুন : আসামিদের দেশত্যাগ ঠেকাতে ইমিগ্রেশনে চিঠি
প্রতিবেদনটি প্রত্যাখ্যান করে কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরী রিভিশন মামলা করেন। ২০০৩ সালের ১৯ মে মামলাটি বিচার বিভাগীয় তদন্তে পাঠানো হয়। দীর্ঘ ১১ বছর পর ২০১৪ সালের ৩ আগস্ট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ইমদাদুল হক তার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন, সেখানেও সালমান শাহর মৃত্যুকে অপমৃত্যু বলা হয়।
পরে কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরীর মৃত্যুর পর সালমান শাহের মা নীলা চৌধুরী মামলার বাদী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন এবং বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজির আবেদন করেন। সর্বশেষ মামলাটি পিবিআই তদন্ত করে ২০২০ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে, যেখানে আত্মহত্যার কথা উল্লেখ করা হয়। ২০২১ সালের ৩১ অক্টোবর আদালত ওই প্রতিবেদন গ্রহণ করে মামলাটি নিষ্পত্তি করেন। এরপর ২০২২ সালের ১২ জুন এই আদেশের বিরুদ্ধে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে রিভিশন মামলাটি করে বাদীপক্ষ।

আদালত প্রতিবেদক