মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়ে প্রতারণা, কামালসহ পাঁচজনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
চাকে বাবা বানিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় বিসিএস ক্যাডার হওয়ার ঘটনায় মো. কামাল হোসেনসহ পাঁচজনের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতের অবকাশকালীন বিচারক মো. আবদুল্লাহ আল মামুন আজ বৃহস্পতিবার এই আদেশ দেন।
বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা পাওয়া অন্যরা হলেন কামাল হোসেনের বাবা আবুল কাশেম, মা মোছা. হাবীয়া খাতুন, চাচা মো. আহসান হাবীব ও চাচি মোসা. সানোয়ার খাতুন ওরফে মোছা. শাহানারা খাতুন।
এ বিষয়ে দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) আকতারুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, দুদকের পক্ষে উপসহকারী পরিচালক মো. মনজুরুল ইসলাম মিন্টু নিষেধাজ্ঞার আবেদন করেন। আদালত আবেদনটি মঞ্জুর করেছেন।
আবেদনে বলা হয়েছে, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব) মো. কামাল হোসেন মুক্তিযোদ্ধা কোটায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি এবং চাকরি লাভসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পেতে জন্মদাতা পিতা মো. আবুল কাশেম ও গর্ভধারিণী মা মোছা. হাবীয়া খাতুনের পরিবর্তে আপন চাচা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আহসান হাবীব ও চাচি মোসা. সানোয়ারা খাতুনকে পিতা-মাতা সাজান। এর মাধ্যমে তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সঙ্গে চরম প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে ৩৫তম বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানের কোটায় প্রশাসন ক্যাডারে চাকরি নেন।
আবেদনে আরও বলা হয়, এ জন্য কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর মামলা হয়েছে। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, আসামি কামালসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বিদেশে পালাতে পারেন। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আসামি কামালসহ তাঁর স্বার্থসংশ্লিষ্ট পাঁচজনের বিদেশ গমন রহিত করা প্রয়োজন।
এদিকে জালিয়াতি করে ‘মুক্তিযোদ্ধা কোটায়’ প্রশাসন ক্যাডারে চাকরি নেওয়ার অভিযোগ ওঠা চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কামাল হোসেনকে গত ৫ নভেম্বর বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়।

আদালত প্রতিবেদক