প্রযুক্তিনির্ভর পুলিশিং ব্যবস্থা গড়তে চান জিএমপির নতুন কমিশনার
প্রযুক্তিনির্ভর আধুনিক পুলিশিং ব্যবস্থা গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) নতুন কমিশনার মো. মাহবুব আলম।
আজ মঙ্গলবার (৬ জুন) নতুন কর্মস্থলে যোগদান করে বিকেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ প্রত্যয় ব্যক্ত করেন জিএমপির এই কমিশনার।
নবাগত জিএমপি কমিশনার বলেন, ‘আমি প্রযুক্তিনির্ভর আধুনিক পুলিশিং ব্যবস্থা গড়ে তুলতে চাই। এটি চ্যালেঞ্জিং মনে হলেও সরকারি অন্যান্য সংস্থা, সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ, স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি, সর্বোপরি সাংবাদিকদের সঙ্গে সমন্বিত কার্যক্রমের মাধ্যমে এটা করা সম্ভব বলে আমি মনে করি।’
নবাগত জিএমপি কমিশনার আরও বলেন, ‘আমি অবশ্যই পুলিশের সেবার মান উন্নততর ও দ্রুততম করতে সচেষ্ট থাকব। এটা শুধু কথার কথা যাতে না হয় সে জন্য সর্বোত্তম সেবার ও কাজের মাধ্যমে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে এগুলোর দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখাতে পারব বলে আমি বিশ্বাস করি।’
এজন্য নবাগত জিএমপি কমিশনার সাংবাদিকসহ নগরবাসী ও সবার সহযোগিতা কামনা করেন।
মতবিনিময় সভায় গাজীপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি খায়রুল ইসলাম, সাবেক সভাপতি মুকুল কুমার মল্লিক, মাজহারুল ইসলাম মাসুম, মুজিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান প্রমুখ বক্তব্য দেন।
এ সময় জিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার জিয়াউল হক, দেলোয়ার হোসেন, উপপুলিশ কমিশনার মো. ইব্রাহিম, আবু তোরাব মো. শামসুর রহমান, আলমগীর হোসেন, ইলতুৎমিশ, আরিফুল ইসলাম প্রমুখ কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
জিএমপিতে যোগদানের আগে মো. মাহবুব আলম আর্ম পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) ডিআইজি (অপারেশন্স) হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। গত ৩১ মে জননিরাপত্তা বিভাগের আদেশে তাঁকে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার হিসেবে পদায়ন করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় আজ তিনি দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।
মো. মাহবুব আলম ১৯৭৩ সালে কুমিল্লা জেলার হোমনার খোদে দাউদপুর গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৯৯ সালে ১৮তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে বাংলাদেশ পুলিশে যোগদান করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে হিসাব বিজ্ঞানে কৃতিত্বের সঙ্গে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
প্রায় ২৪ বছরের চাকরি জীবনে পুলিশের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন ইউনিটে দায়িত্ব পালন করেছেন মাহবুব আলম। তিনি ঢাকায় পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে অ্যাডিশনাল ডিআইজির দায়িত্বে থাকাকালীন বাংলাদেশ পুলিশের নবাগত ইউনিট গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের গঠন প্রণালির কাজে বিশেষভাবে নিয়োজিত ছিলেন। নতুন এই ইউনিটের প্রাথমিক অবকাঠামোগত উন্নয়ন তাঁর হাতেই সাধিত হয়। এ ছাড়া তিনি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। দায়িত্ব পালনকালে তিনি সাহসী এবং বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ দুবার প্রেসিডেন্ট পুলিশ পদক (পিপিএম) এবং একবার বাংলাদেশ পুলিশ মেডেল (বিপিএম), একবার আইজিপি ব্যাজ পদকে ভূষিত হন। তিনি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে উচ্চতর প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি বিবাহিত। তাঁর সহধর্মিণী দেলোয়ারা বেগম। তিনি এক ছেলে ও দুই মেয়ে জনক।